৪-৪ গোলের রোমাঞ্চ শেষে বার্সা কোচের মেজাজ খারাপ, বেজায় খুশি সিমিওনে

0
15
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে করা আলেকসান্দার সরলথের (ডানে) গোলে বার্সার সঙ্গে ৪–৪ গোলে ড্র করেছে আতলেতিকো, এএফপি

দিয়েগো সিমিওনে বেজায় খুশি। আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ খুশি, কারণ তাঁর দল ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও বার্সেলোনার সঙ্গে ৪-৪ গোলে ড্র করেছে।

স্বাভাবিক কারণেই হান্সি ফ্লিকের মেজাজ খারাপ। ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলে এগিয়ে থাকার পরও ম্যাচ জিততে না পারলে এমনই তো হওয়ার কথা। অথচ কাল রাতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ড্র করেই খুশি হওয়ার কথা ছিল। ম্যাচের ৬ মিনিট যেতে না যেতেই যে প্রতিপক্ষ আতলেতিকো এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে।

সেখান থেকেই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বার্সা উল্টো এগিয়ে যায় ৪-২ গোলে। পরের গল্পটা ম্যাচের শেষ দিকে আতলেতিকোর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের।

আমি হতাশ, কারণ শুরুতে ২ গোলে খেলেও কী দারুণভাবেই না আমরা ফিরে এসেছিলাম। একটা সময় তো ৪-২ গোলে এগিয়েও গেলাম। আমরা কত সুযোগ তৈরি করলাম। কিন্তু সবকিছুই বৃথা গেল।হান্সি ফ্লিক, বার্সেলোনা কোচ

৪-২ গোলে এগিয়ে গিয়েও ড্র। সেটিও ঘরের মাঠে। ফ্লিকের খ্যাপাটাই স্বাভাবিক। ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল টিভিইকে ফ্লিক বলেন, ‘এই ফলে আমি হতাশ, কারণ শুরুতে ২ গোল খেলেও কী দারুণভাবেই না আমরা ফিরে এসেছিলাম। একটা সময় তো ৪-২ গোলে এগিয়েও গেলাম। আমরা কত সুযোগ তৈরি করলাম। কিন্তু সবকিছুই বৃথা গেল। শেষ কয়েক মিনিটে আমরা ওদের (আতলেতিকো) ফেরার সুযোগ করে দিলাম।’

৬ মিনিটেই ০–২ গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সাকে ৩–২ গোলে এগিয়ে দেওয়ার পর ইনিওগো মার্তিনেজের (ডানে) উদ্‌যাপন
৬ মিনিটেই ০–২ গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সাকে ৩–২ গোলে এগিয়ে দেওয়ার পর ইনিওগো মার্তিনেজের (ডানে) উদ্‌যাপন,এএফপি

প্রতিপক্ষ আতলেতিকোর প্রশংসাও করেছেন ফ্লিক, ‘আতলেতিকো খুব ভালো খেলেছে। আমার খুব ভালো ও শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে খেলেছি। তবে ৮০ মিনিট পর্যন্ত আমাদের আধিপত্য ছিল, শেষ কয়েক মিনিট রক্ষণকাজটা ভালোভাবে করতে পারিনি। চতুর্থ গোলটা তো বিশ্বাসই করতে পারছি না।’

ম্যাচ শুরুর পর ১ মিনিট না হতেই হুলিয়ান আলভারাজের গোলে এগিয়ে যায় আতলেতিকো। ৫ মিনিট পর ব্যবধানটা দ্বিগুণ করেন আঁতোয়ান গ্রিজমান। পেদ্রি (১৯ মিনিট), পাউ কুবারসি (২১) ও ইনিওগো মার্তিনেজের (৪১) গোলে ৩-২ ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ করে বার্সা। ৭৪ মিনিটে বার্সার চতুর্থ গোলটি আসে রবার্ট লেভানডফস্কির কাছ থেকে। ৮৪ মিনিটে মার্কোস ইয়োরেন্তের গোলে ব্যবধান কমানো আতলেতিকো সমতা আনে যোগ  করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে। আলেকসান্দার সরলথ করেন ৪-৪।

এমন নাটকীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পারায় খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আতলেতিকো কোচ সিমিওনে, ‘এই দলটার টিম স্পিরিটই আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে। গ্লাডিয়েটরসুলভ মানসিকতা আমাদের খেলোয়াড়দের। অবিশ্বাস্য! বার্সেলোনা দলটা অনন্যসাধারণ, তবে আমরাও কম নই। আমরা কী, সেটি তো দেখালামই।’

আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে (বাঁয়ে) নন, ম্যাচ শেষে মেজাজ হারিয়েছেন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক
আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে (বাঁয়ে) নন, ম্যাচ শেষে মেজাজ হারিয়েছেন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক

সরলথের করা চতুর্থ গোলটির পর বিশ্বজয়ের উদ্‌যাপনের মেতে ছিল আতলেতিকো। সেটি নিয়েও বলেছেন সিমিওনে, ‘ওটা ছিল আনন্দে ফেটে পড়া। ৪-২ থেকে ফেরাটা কঠিন মনে হচ্ছিল। তবে আমাদের খেলোয়াড়েরা প্রচণ্ড সাহসী। ওরা সমতা ফিরিয়েছে। এখন অপেক্ষা ২ এপ্রিলের দ্বিতীয় লেগের।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.