মৌসুমি সবজির দাম আগের মতোই হাতের নাগালে। তবে ভিন্ন আবহ বিরাজ করছে মাছ-মাংসের বাজারে। মুরগি থেকে গরু-খাসি, সব ধরণের মাংসের দামই বেড়েছে। আগের চড়া দামেই স্থিতিশীল চালের বাজার।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন তথ্য।
বেশ কয়েক সপ্তাহ উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকার পর, আবারও দামের আঁচ লেগেছে মাছের বাজারে। বেশিরভাগ মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নদীর মাছের দাম বেড়েছে আরও বেশি। সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজির নীচে মিলছে না বড় আকারের চাষের রুই-কাতলা। এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেজির নীচে মিলছে না চিংড়ি। মাঝারি আকারের আইড়, বোয়ালের জন্য পকেট থেকে বেরিয়ে যাবে ২ হাজার টাকার বেশি।
সবশেষ সপ্তাহে শবে বরাত উপলক্ষে গরু আর খাসির মাংসের দাম চড়িয়েছিলেন দোকানিরা। এখনও বাড়তি দাম হাঁকছেন তারা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকা কেজিতে। গরুর মাংসের জন্য গুণতে হবে সাড়ে সাতশো থেকে আটশো টাকা।
কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় দামের চড়াবস্থা বিরাজ করছে পোল্ট্রি বাজারেও। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে এক কেজি দেশি মুরগির জন্য গুণতে হচ্ছে ছয়শো থেকে সাড়ে ছয়শো টাকা। ৩২০ টাকা কেজির নীচে মিলছে না সোনালী জাত।
আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম। ৫০ থেকে ৫২ টাকায় মিলছে মোটা চাল। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে আমদানির প্রভাব পড়েনি বাজারে। কেননা যৌক্তিক দামে একই মানের চাল আনা যায়নি।