![Screenshot 2025-02-13 233122](https://dailyprovatalo.com/wp-content/uploads/2025/02/Screenshot-2025-02-13-233122-696x464.png)
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের এক অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের ওই অধিবেশন সঞ্চালনা করেন সিএনএনের সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসন। সেখানে বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সময়–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব—সম্ভবত এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকটি অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং দেশ, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করা। এগুলো শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের সময় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশ পুনর্গঠন করতে গিয়ে একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ প্রশাসন, সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলাদা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে এই কমিশনগুলো। আমাদের একটি কমিশন রয়েছে, যাকে আমরা ঐকমত্য-গঠন কমিশন বলছি। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যাব এবং দেখব কোন কোন সুপারিশের বিষয়ে সবাই একমত, যেন আমরা সেটিকে (ঐকমত্য) একটি সনদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারি এবং তারপর একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করতে পারি।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের কারণে তিনি খুবই স্বস্তি বোধ করছেন। হত্যা, গুম, টর্চার চেম্বার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কীভাবে শিক্ষার্থীদের গুলি করা হয়েছে—সবকিছু স্পষ্টভাবে এই প্রতিবেদনে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এখন আর বিশ্বের কাছে গিয়ে বলতে হবে না যে এগুলো বানোয়াট নয়। এ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন রয়েছে।