একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

0
6
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল এ বছর একুশে পদক পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।

নারী ফুটবলারদের বিদ্রোহের মধ্যেই আজ সন্ধ্যায় এল খবরটা। ২০২৫ সালের একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

বাংলাদেশের কোনো ক্রীড়া দলের একুশে পদক পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। দুই যুগ আগে সংস্থা হিসেবে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

নারী ফুটবল দলের একুশে পদক পাওয়ার খবরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে দুই শব্দে বলেন, ‘ভালো লাগছে।’

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বলতে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা দলটিকে বোঝানো হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গত অক্টোবরে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখার পর বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল আর কোনো ম্যাচ খেলেনি। এর ফলে সর্বশেষ খেলা দলটিই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল দুবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। প্রথমবার ২০২২ সালে, দ্বিতীয়বার ২০২৪ সালে।

নারী ফুটবলের জন্য সুখবরটা এসেছে এমন সময়ে, যখন সাফজয়ী ১৬ ফুটবলারসহ জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ১৮ জন নারী ফুটবলার কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনের নিচে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, রুপণা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দারা ঘোষণা দিয়েছেন, পিটার বাটলার কোচ থাকলে তাঁরা গণ-অবসরে যাবেন। সেই ঘটনায় এখন টালমাটাল দেশের নারী ফুটবল।

সংকট সমাধানে বাফুফে গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি আজ রাতে বাফুফে সভাপতির কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। কমিটি নিজেদের মধ্য শেষবারের মতো সন্ধ্যায় সভায় বসার কথা। সেই সভায় কী হয়, প্রতিবেদনে কী থাকে, জল্পনার মধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের একুশে পদক পাওয়ার ঘোষণা এল।

বাংলাদেশে এর আগে কোনো খেলার কোনো দলই একুশে পদক পায়নি। সংস্থা হিসেবে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বিসিবি। স্বাধীনতা পদকের জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অনেকবারই আবেদন করেছিল। কিন্তু তারা এখনো পুরস্কার পায়নি।

একুশে পদক

একুশে পদক ২০২৫ এর জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)—শিল্পকলা (চলচ্চিত্র), উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর)—শিল্পকলা (সংগীত), ফেরদৌস আরা—শিল্পকলা (সংগীত), নাসির আলী মামুন—শিল্পকলা (আলোকচিত্র), রোকেয়া সুলতানা—শিল্পকলা (চিত্রকলা), মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)—সাংবাদিকতা, মাহমুদুর রহমান—সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার, ড. শহীদুল আলম—সংস্কৃতি ও শিক্ষা, ড. নিয়াজ জামান—শিক্ষা, মেহেদী হাসান খান—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)—সমাজসেবা, হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর)—ভাষা ও সাহিত্য, শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)—ভাষা ও সাহিত্য এবং মঈদুল হাসান—গবেষণা।

প্রসঙ্গত, দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.