ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যে ‘খুব শিগগির’ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এরা (ইইউভুক্ত দেশ) সত্যিকার অর্থেই (যুক্তরাষ্ট্রের) সুবিধা নিয়েছে। এরা আমাদের কাছ থেকে গাড়ি নেয় না, কৃষিপণ্য নেয় না। এরা প্রায় কিছুই নেয় না। আর আমরা লাখ লাখ গাড়ি থেকে শুরু করে বিপুল পরিমাণে খাদ্য ও কৃষিপণ্য পর্যন্ত সবকিছু এদের কাছ থেকে নিই।’
ইইউর ওপর শুল্কারোপের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে কি না—বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘সময়সীমা নির্ধারণ হয়েছে, এমনটা বলব না। তবে এটি খুব শিগগির হতে চলেছে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় সব দেশ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকিয়েছে। আমাদের প্রায় প্রতিটি দেশের সঙ্গে ঘাটতি রয়েছে। আমরা এটির পরিবর্তন ঘটাতে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায্য।’
আইনি পদক্ষেপ নেবে কানাডা
কানাডার বেশির ভাগ পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে কানাডা। এরই মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
ট্রুডোর এ ঘোষণার জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, কানাডা যদি প্রতিশোধ নেয়, তবে তিনি দেশটির পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়াবেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী দেশটি অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি কানাডার জনগণকে ভালোবাসি। দেশটির নেতার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। সেখানে কিছু একটা ঘটতে চলেছে।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু তারা যদি খেলা খেলতে চায়, কোনো ব্যাপার না। তারা যা কিছু খেলতে চায়, আমরা খেলতে রাজি আছি।’
মেক্সিকোর ওপর আরও কঠোর শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি
মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের আসা অব্যাহত থাকলে দেশটির ওপর ‘আরও কঠোর শুল্ক আরোপের’ হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। তবে দেশটির সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল মাদক ও অভিবাসীদের আসা বন্ধ না করে, তবে তাদের পণ্যে আরও শুল্ক আরোপ করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটি কিছুটা হলেও প্রতিশোধমূলক। মেক্সিকো ও কানাডা হয়ে লাখ লাখ মানুষ আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। আমরা তা হতে দেব না।’
বিবিসি ও রয়টার্স