একটি সুস্থ ও সুখী সমাজ গড়তে সমবেদনা ও সমানুভূতির সঙ্গে আরও ভালোভাবে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন। ক্যানসারের চিকিৎসার পর আনুষ্ঠানিক দায়িত্বে ফিরে এই প্রথম জনসমক্ষে বার্তা দিলেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট।
আজ রোববার প্রকাশিত রয়্যাল ফাউন্ডেশন সেন্টার ফর আর্লি চাইল্ডহুডের একটি প্রতিবেদনের ভূমিকায় এ বার্তা দেন কেট। সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ২০২১ সালে রয়্যাল ফাউন্ডেশন সেন্টার ফর আর্লি চাইল্ডহুড চালু করেন তিনি।
কেট তাঁর বার্তায় দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্য, আসক্তি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার কথাও বলেছেন।
তিনি লেখেন, ‘আমাদের অবশ্যই নতুন শুরু, পুনরুদ্ধার ও পুনর্ভারসাম্য করতে হবে। এর অর্থ নিজস্ব আচরণ, আবেগ ও অনুভূতির প্রতি গভীর দৃষ্টিপাত করা।’
কেট ব্রিটিশ সিংহাসনের বর্তমান উত্তরাধিকারী যুবরাজ উইলিয়ামের স্ত্রী।
কেট আরও লেখেন, ‘আমাদের পরস্পরের প্রতি সমবেদনা ও সমানুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও ভালো হতে হবে, এর মাধ্যমে যেন আমাদের জীবনে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সেগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়…
‘আর এ সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে আমাদের সামাজিক ও মানসিক দক্ষতার বিকাশ এবং সেগুলোকে লালন করা। যদি আমরা উন্নতি করতে চাই, তবে এগুলোকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
ক্যানসার প্রতিরোধে কেমোথেরাপির একটি কোর্স শেষে করার পর ধীরে ধীরে নিজের রাজকীয় দায়িত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে আবার ফিরে আসতে শুরু করেছেন কেট। গত সপ্তাহে তিনি দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর জানুয়ারি মাসে কেটের তলপেটে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়। ওই অস্ত্রোপচারের পর তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ব্রিটিশ রাজপরিবারে বড় ধরনের দুঃসংবাদ হয়ে আসে। রাজা তৃতীয় চার্লসও ক্যানসারে আক্রান্ত। গত বছর প্রিন্স উইলিয়াম বলেছিলেন, ২০২৪ সাল রাজপরিবারের জন্য অনেক কঠিন সময় নিয়ে এসেছে।
রয়টার্স,লন্ডন