‘দেবা’ ছবিতে জুটি বেঁধে আসছেন শহীদ কাপুর ও পূজা হেগড়ে। অ্যাকশন থ্রিলার ছবিটি গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। রোশন অ্যান্ড্রুজ পরিচালিত এই ছবিতে শহীদকে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা গেছে এবং পূজা অনুসন্ধানী সাংবাদিক।
মুক্তির আগে পূজা আর শহীদ এখন তাই ‘দেবা’র প্রচারণায় ব্যস্ত। গত মঙ্গলবার এমনি একটি অনুষ্ঠানে শহীদকে নিয়ে কিছু কথা বলেন পূজা, ‘শহীদ দুর্দান্ত থেরাপিস্ট।
গাড়িতে ৪০ মিনিটের এক সফরের সময় আমরা আমাদের জীবন নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের পেশা, জীবন, অভিনেতা হিসেবে আগে কী করতে চাই, অবসর সময়ে কী করা উচিত… ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে অনেক কথা বলেছি। আমরা একে অপরের হৃদয়ের কথা খোলাখুলি বলেছি। আর শহীদের কথাবার্তা এতটাই আকর্ষণীয় ছিল যে আমার মনে হয়েছে, তিনি সবচেয়ে ভালো থেরাপিস্ট।’
তার কথা শেষ হতে না হতে শহীদের সহাস্য মন্তব্য, ‘৪০ মিনিট ধরে ও (পূজা) আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছে। কানের সামনে একনাগাড়ে বলে গেছে যে অভিনয়ের সুযোগ আছে, এমন ছবিতে ও কাজ করতে চায়। তাই ওকে কেউ এমন ছবিতে অনুগ্রহ করে সুযোগ দিন। উফ!’
দক্ষিণের পাশাপাশি বলিউডের ছবিতেও সমান ব্যস্ত পূজা। একই সঙ্গে দুটো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং, জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘একসঙ্গে সবকিছুর মধ্যে সমতা বজায় রেখে চলা খুব মুশকিল। আর ছবির শুটিংয়ের জন্য দক্ষিণ আর মুম্বাইয়ে আসা–যাওয়া করা খুবই চ্যালেঞ্জিং।
তবে আমি এই দুইয়ের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে ভালোবাসি। আমি যখন “দেবা”র শুটিং করছিলাম, তখনই আরেক ছবি “রেট্রো”রও শুটিং করছিলাম। আর এই দুই ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্র একদম আলাদা। একটা চরিত্র ছেড়ে অপর চরিত্রে যাওয়া সত্যিই কঠিন কাজ ছিল। সবকিছুর মধ্যে সমতা বজায় রেখে চলা আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল।’
হিন্দি, তামিল, তেলেগু ছবিতে কাজ করেন পূজা। ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভাষা দেখেন না বলে জানান তিনি। তাঁর ভাষ্যে, ‘যখন মনে হয়, আমার চরিত্রটা ভালো বা ছবিটা ভালো, তখনই সেই ছবির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করি। আমার মনে হয়, ভাষার চেয়ে এটা দেখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, ভালো কাজের মাধ্যমেই আমি দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারব।’