সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বাশার আল-আসাদের পতনের পর এখন পর্যন্ত তারা সিরিয়ায় পাঁচ শতাধিক হামলা চালিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য দিয়েছে বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, ইসরায়েল সবশেষ লাতাকিয়া ও তারতাসের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
তারতাসে অস্ত্রের একাধিক গুদামে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে উৎক্ষেপণের জন্য রাখা ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। হামলায় বিস্ফোরণ ঘটে।
এ ছাড়া তারতাসে আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনা ও রাডার–ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সিরিয়ার অন্যত্রও হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লাতাকিয়ার রাডার স্থাপনা, দেইর আজোরের সেনাক্যাম্প ও সামরিক বিমানবন্দর।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মাত্র ১২ দিনের ঝটিকা আক্রমণে গত রোববার সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতন হয়। তিনি সিরিয়া থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। বাশার আল-আসাদের পতনের পরপর সিরিয়ায় হামলা জোরদার করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, সবশেষ ৪৮ ঘণ্টায় তারা সিরিয়ায় ৪৮০টির বেশি হামলা চালিয়েছে।
হামলার স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানী দামেস্ক, হোমস, তারতাস, পালমিরা, লাতাকিয়া, দেইর আজোরের মতো শহর।
হামলার লক্ষ্যবস্তু সিরিয়ার যুদ্ধজাহাজ, বিমানঘাঁটি, সামরিক যান, বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র, অস্ত্র উৎপাদন কারখানা, অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, তারা গত রোববার থেকে সিরিয়ার ১৩টি প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলার তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেছেন, তিনি সিরিয়ার সম্ভাব্য রাসায়নিক অস্ত্রের স্থান-স্থাপনাগুলো সুরক্ষিত করবেন।
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী ভেঙে দেবেন বলেও জানিয়েছেন আল-জোলানি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, সিরিয়ার সবচেয়ে ‘কুখ্যাত’ কারাগারগুলো তিনি বন্ধ করবেন।
আল জাজিরা