কুষ্টিয়া সীমান্তে বিএসএফ’র অতিরিক্ত জওয়ান বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়েছে বিজিবি। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানতে চাওয়া হয়। বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত চলে এই বৈঠক।
বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, অধিনায়ক, কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এবং বিএসএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন মনহর লাল, উপ-অধিনায়ক, ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ, রওশনবাগ, ভারত।
বৈঠকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ জনবল বৃদ্ধির কারণ জানতে চান। জবাবে বিএসএফ কমান্ডার একাধিকবার নিশ্চিত করেন যে, জনবল বৃদ্ধি তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এই বৃদ্ধি মূলত মাদক ও অন্যান্য অবৈধ চোরাচালান আরও কার্যকরভাবে প্রতিরোধ এবং কাঁটাতারের বেড়াহীন এলাকাগুলোতে শূন্য রেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে ১৫০ গজ দূরত্বে কাঁটাতার স্থাপনের প্রস্তুতি হিসাবে পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিতকরণ কার্যক্রমের জন্য।
এ সময় সীমান্তে বাংলাদেশি জনসাধারণের ওপর কোনো অবস্থাতেই প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার বিষয়ে অনুরোধ জানায় কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের প্রতিনিধি। প্রতিউত্তরে বিএসএফ প্রতিনিধিও একমত পোষণ করেন। ভারত থেকে মাদকদ্রব্য, নিষিদ্ধ পণ্য এবং অবৈধ অস্ত্র যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেয় বিএসএফ।
এরপর, উদয়নগর বিওপির পাশে আতারপাড়া গ্রামের পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বসতবাড়ি নির্মাণ করার বিষয়টি উল্লেখ করেন বিএসএফ প্রতিনিধি। ভবিষ্যতে যেন সেখানে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা না হয় এ বিষয়ে বিজিবি অধিনায়ককে অনুরোধ করেন তিনি। ভূমি-বাস্তবতার নিরিখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন বিজিবি অধিনায়ক।
বিএসএফ টহল কমান্ডার এবং কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের পরিবর্তে স্থায়ী ও অফিসিয়াল সেলফোন নম্বর আদান-প্রদানের পরামর্শ প্রদান করেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক । এ বিষয়ে বিএসএফ কমান্ডার একমত পোষণ করেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।