স্কুলে ভর্তি আবেদন, বেসরকারিতে ৭৬ শতাংশ আসনই ফাঁকা

0
13
স্কুলে ভর্তি আবেদন
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদনের সময়সীমা শনিবার (৩০ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বেশি আবেদন জমা পড়লেও বেসরকারিতে তেমন সাড়া মেলেনি। রয়ে গেছে ৭৬ শতাংশ আসনই ফাঁকা।
 
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত জমা পড়া আবেদন বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য জানা গেছে।
 
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। তারা মোট স্কুল পছন্দ দিয়েছে ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৮টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। সরকারি স্কুলে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৩টি আবেদন পড়েছে।
 
অন্যদিকে, ঢাকা ও বিভিন্ন মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি আসনের বিপরীতে মাত্র ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০টি আবেদন পড়েছে। তারা মোট স্কুল পছন্দ দিয়েছে মোট ৬ লাখ ১৩ হাজার ৭টি। সরকারি স্কুলের চেয়ে ৮ গুণ বেশি আসন হওয়ার পরও এখানে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭১টি বেশি আসন এখনও খালি। অর্থাৎ বেসরকারি স্কুলগুলোতে এখনও প্রায় ৭৬ শতাংশ আসন খালি রয়ে গেছে।
 
ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে এবার ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। পরে ১২ ডিসেম্বর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে।
 
মেধা-অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি
ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর প্রথম অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ও দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
 
চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ
দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা।
 
অন্যদিকে, রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তা ছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতিবছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।
 
বেসরকারি স্কুলে আসন ফাঁকার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পর্যায়ের ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় সবাই তার সন্তানকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করাতে চায়। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন মহানগর ও জেলা সদরে এ প্রবণতা বেশি। এর কারণ হলো সরকারি স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষার মান বেসরকারির চেয়ে ভালো। এছাড়াও খরচের বিষয়টি তো রয়েছেই।
 
প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। যা ১৮ দিন পর ৩০ নভেম্বর শেষ হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.