এশিয়া ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস পুরস্কার পেল অধিকার

0
7
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার
বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষায় অবদান রাখায় এ বছরের এশিয়া ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস পুরস্কার পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার। মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেয় তাইওয়ানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান তাইওয়ান ফাউন্ডেশন ফর ডেমোক্রেসি। গতকাল বুধবার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
 
অধিকারকে পুরস্কৃত করা প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের পক্ষে সোচ্চার অবস্থান নেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর মানবাধিকার সংস্থা অধিকারকে এশিয়া ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। হয়রানি, কারাভোগ ও নজরদারির মতো নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তিন দশক ধরে সংস্থাটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
 
তাইওয়ান ফাউন্ডেশন ফর ডেমোক্রেসি বলেছে, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারের কর্মকাণ্ডে নজর রাখা, গবেষণা, সোচ্চার অবস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে সংহত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে অধিকার। সংস্থাটি ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিবছর মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশে নাগরিক অধিকার ও সরকার পরিচালনায় স্বচ্ছতার মতো বিষয়গুলো নজরদারির পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও নির্যাতনের মতো ঘটনা তুলে ধরে আসছে সংস্থাটি।
 
এই স্বীকৃতির মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষার কাজে অধিকারকে উৎসাহিত করতে চায় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের কাজ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা কারও নজরে পড়ছে না, এটা যেন মনে না করে অধিকার। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকর্মী এবং তাইওয়ান ফাউন্ডেশন ফর ডেমোক্রেসিসহ সব মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পাশে আছে।
 
আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবারের এশিয়া ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস পুরস্কার দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এ পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ মার্কিন ডলার। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার অব্যাহত প্রচেষ্টায় সহযোগিতার অংশ হিসেবে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পুরস্কারজয়ী প্রতিষ্ঠানকে এ অর্থ দেওয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.