ভারতের কেরলের ওয়েনাড়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে পাঁচ লাখ ভোটের ব্যবধান পেরিয়ে গেলেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিপুল ভোটে জয় পেতে চলেছেন তিনি। শনিবার সকালে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ভোট গণনা এখনও চলছে।
মাস ছয়েক আগে এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতেও জয়লাভ করেছিলেন। রায়বরেলী রেখে ওয়েনাড় বোন প্রিয়াঙ্কাকে ছেড়ে দেন তিনি। সেখানেই উপনির্বাচনে জয়ের দেখা পাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা।
ওয়েনাড়ে প্রিয়াঙ্কার লড়াই সাবেক বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যন মোকেরি এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসের সঙ্গে। নব্যা কোঝিকোড় পৌরসভার ভোটে দু’বার জয়ী হয়েছেন। এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে ওয়েনাড়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সিপিআইয়ের প্রার্থী ছিলেন দলের জাতীয় স্তরের নেত্রী অ্যানি রাজা। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী।
রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার অভিষেক ঘটেছিল অনেক দিন আগেই। বহু নির্বাচনী প্রচারে তাকে দেখা গেছে। কিন্তু আগে কখনও নির্বাচনে লড়েননি। ২৩ অক্টোবর কেরালার ওয়েনাড লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে নামেন প্রিয়াঙ্কা।
ওই দিন এক জনসমাবেশে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, আমি ৩৫ বছর ধরে দলের জন্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছি। প্রথমবারের মতো নিজের জন্য ভোট চাইছি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে একটি ‘রোড শো’ করেন প্রিয়াঙ্কা।
এ বারের লোকসভা ভোটে ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী থেকে লড়েছিলেন রাহুল। দু’টি কেন্দ্রেই ভাইয়ের প্রচারে অংশ নেন প্রিয়াঙ্কা। লোকসভা ভোটে দু’টি আসন থেকেই সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল। এরপর ১৭ জুন রায়বরেলী ধরে রেখে ওয়েনাড় আসন ছেড়ে দেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, প্রিয়াঙ্কা ওই আসনে উপনির্বাচনে লড়বেন। উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরেই কংগ্রেসের পক্ষে ওয়েনাড়ে প্রার্থী হিসাবে প্রিয়াঙ্কার নাম জানানো হয়। রাহুলের ছেড়ে দেওয়া ওয়েনাড় কেন্দ্রে ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হয়।