কিছুটা কমেছে সবজি ও মুরগির দাম, চাল-আলুর বাজারে অস্বস্তি

0
14
সবজি ও মুরগির দাম, চাল-আলু
কার্তিক মাসের শেষে এসে রাজধানীর বাজারগুলোয় বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এর ফলে আলু ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। পুরোনো আলুর দাম কেজিপ্রতি ফের ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
 
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
 
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শাকের দাম নাগালের মধ্যে। বেশিরভাগ সবজিই ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
 
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত পুরোনো আলুর দাম বাড়তি থাকবে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।
 
কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ও কাপ্তান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।
 
এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৬০-৮০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।
 
কারওয়ান বাজারে আসা রোকন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে সবজির দাম কমেছে কিছুটা। কিন্তু আলুর দাম বেড়েই চলেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আশা করি, শিগগিরই দাম নাগালের মধ্যে আসবে।
 
এদিকে সবজির মতো মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কেজিতে ৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহে আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।
 
সপ্তাহের শেষে মুরগির দামও কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।
 
সবজি, মাংস ও মাছের দাম কমলেও চড়া চালের বাজার। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বাজারে মোটা চালের দর কেজিতে ৫২-৫৫ টাকা, আর চিকন চাল ৬৮-৮০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে মোটা ও চিকন চালের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১.৯ শতাংশ ও ২.৭৮ শতাংশ।
 
চাল বিক্রেতারা জানান, আমন ধান ওঠা শুরু হলে বাজারে দাম কমতে শুরু করবে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, আটাশ ৬০-৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.