ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা জারি

0
15
ভূমি মন্ত্রণালয়
সরকার, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, বিধিমালা, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ২৬ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা, ২০২৪ জারি করেছে।
 
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে, ভূমি মন্ত্রণালয় গত ২৪ অক্টোবর বিধিমালা জারি করে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভূমি নিয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি, বেদখল বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী আপাতত বলবৎ কোনো আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলায় কোনো দলিল প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি প্রমাণিত হলে আদালত ওই মামলার আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠাবে।
 
প্রতারণা বা জালিয়াতির অভিযোগ বিচারের জন্য পাঠাতে আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা এর উদ্দেশ্য পূরণে ভূমি হস্তান্তর, জরিপ, রেজিস্ট্রেশন, রেকর্ড হালনাগাদ বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে প্রদর্শিত বা উপস্থাপিত কোনো দলিল বা তথ্যের বিষয়ে প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হয়েছে এমন বিশ্বাস কবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দেবেন।
 
এতে বলা হয়েছে, অবৈধ দখল প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণে আইনের ধারা ৭ এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, আইনানুগভাবে দখলদার কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তার দখলীয় ভূমি হতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করবার চেষ্টা করা হলে বা হুমকি প্রদান করা হলে অথবা তাকে ওই ভূমির দখল বা প্রবেশে বাধা প্রদান করা হলে তিনি এতদুদ্দেশ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ আবেদন করতে পারবেন।
 
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধারের আবেদন পদ্ধতি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনের ধারা ৮ এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তার দখলীয় ভূমি থেকে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হলে তিনি তাতে উল্লিখিত দলিলাদিসহ তার পূর্ব-দখলীয় ভূমিতে দখল পুনর্বহাল করবার নিমিত্ত এতদুদ্দেশ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করতে পারবেন।
 
দখল পুনরুদ্ধারে আইনের ধারা ৮ এর উদ্দেশ্যপূরণে নালিশি ভূমির দখল হস্তান্তরে প্রতিপক্ষ বরাবর প্রদত্ত আদেশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রতিপক্ষ দখল হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনকারীকে দখলে পুনর্বহাল করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তার আদেশ দিতে পারবেন। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমির ক্ষতিসাধন বা শ্রেণি পরিবর্তন এবং অবৈধভাবে মাটির উপরিস্তর কর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণে আইনের ধারা ১১, ১২ ও ১৩ এর উদ্দেশ্য পূরণে যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কার্য করেন, তাহলে কেন তার বিরুদ্ধে আইনের ধারা ১৪ এর অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেজন্য জেলা প্রশাসক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবেন।
 
এতে আরও বলা হয়, বিধিমালার অধীন কোনো নোটিশ বা আদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে, জিইপি বা অনুমোদিত কোনো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো যাবে। নকল সরবরাহ প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করে এ আইনের অধীন প্রদত্ত আদেশ, নথি ও দলিলাদির সার্টিফাইড কপি এবং সত্যায়িত ফটোকপি নকল হিসেবে সরবরাহ করা যাবে। বাস্তবায়ন প্রতিবেদন পাঠানো ও পর্যালোচনা আইন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে মাসিক প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।
 
বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে সরকারের কাছে প্রয়োজনে সুপারিশ দাখিলের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.