নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন আমেরিকানরা

0
15
ভোট দিচ্ছেন আমেরিকানরা
নিজেদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন আমেরিকানরা। সময়ের ভিন্নতার কারণে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একেক এলাকায় আলাদা আলাদা সময়ে শুরু হয়েছে ভোট। দেশটিতে ইতোমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন সাত কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল কবে জানা যাবে, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে অনেকের মাঝে।
 
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের একটি ছোট গ্রামে নির্বাচনের প্রথম প্রহরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করে গণনাও হয়ে যায়। এবার সেখানে ড্র করেছেন ট্রাম্প-কমলা। খবর সিএনএনের।
 
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অংশে সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও ডিক্সভিল নচ নামের এই গ্রামের একমাত্র ভোটকেন্দ্রটিতে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা (মঙ্গলবার) থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ওই গ্রামে ১০ জন ভোটারও নেই! খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা শেষ হয়ে ফলাফলও জানা হয়ে গেছে। তিনটি করে ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প ও কমলা। দিনের প্রথম প্রহরে দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কানেকটিকাট, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং ভার্জিনিয়া-সহ আটটি রাজ্যের ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির ইনডিয়ানা ও কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যেও সকাল ৬টায় ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
 
দেশটির মেইন রাজ্যের প্রায় সব ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে সকাল ৬টায়। তবে দেশটির যেসব শহরের ভোটকেন্দ্রে ভোটার ৫০০ জনের কম রয়েছে, সেসব এলাকার ভোটকেন্দ্র স্থানীয় ১০টায় খুলে দেওয়া হবে।
 
মার্কিন ব্যবস্থায় নাগরিকদের সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। নাগরিকদের ভোট ভাগ হয়ে যায় ৫৩৮টি নির্বাচক ভোটের মধ্যে। এই ভোটগুলোর বিন্যাস ঠিক করে দেয়, কে হবেন প্রেসিডেন্ট।
 
যে প্রার্থী জনগণের ভোট জিতে নেন, প্রতিটি রাজ্য তার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটগুলো ওই প্রার্থীকে দেয়। বড় রাজ্যগুলোর ভাগে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট বেশি থাকে। সেসব রাজ্যে কংগ্রেসের প্রতিনিধি বেশি।
 
এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের মধ্যে অন্তত ২৭০টি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকটোরাল ভোট পেতে কঠিন লড়াই হবে। এ সংখ্যাটি প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিশ্চয়তা দেবে।
 
তবে এবারের নির্বাচনের লড়াই একেবারে শেষ সময় পর্যন্ত গড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ভোটের ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া ভোট গণনা নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মতো জটিলতাও তৈরি হতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.