সাবিনাদের বিমান ঢাকার মাটি ছোঁয়ার কথা ছিল বেলা সোয়া দুইটায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে তার আগে থেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। কে একজন বললেন, দুই বছর আগে প্রথমবারের মতো সাফ জয়ের যে উচ্ছ্বাস, সেটার কমতি দেখছেন তিনি। তবে গণমাধ্যমের ভিড় দেখলে তেমনটা মনে হয় না। সাফজয়ী মেয়েদের নিয়ে বিমানটি একটু ডিলে ছিল। নির্ধারিত সময়ের ১৭ মিনিট পর যখন বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করে, বাইরে তখন কড়া নিরাপত্তা। একটু পর ট্রফি হাতে কোচ জেমস পিটার বাটলার, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, রুপনা চাকমা আর ঋতুপর্ণা চাকমা এগিয়ে এলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য!
শিরোপা জেতাটা বড় কথা নয়, যে ধরনের ফুটবল মেয়েরা খেলেছে, সেটাই আনন্দের জায়গা।
পিটার বাটলার, কোচ, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল
গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে তখন বেজায় হুলুস্থুল। কে কার আগে ‘বাইট’ জোগাড় করবেন, তা নিয়ে তোড়জোড়। কোচ বাটলারকে কথা বলতে হলো মেগাফোনে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিমানবাহিনীর এক প্রভোস্ট এগিয়ে দিলেন মেগাফোন। সেটি হাতে নিয়ে ইংলিশ কোচ বাটলারকে কিছুটা আবেগপ্রবণ মনে হলো।
কোচ শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের। বললেন, ‘এই শিরোপা বাংলাদেশের মানুষেরই।’
বাটলারের মতে, কাঠমান্ডুর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যে ফুটবল বাংলাদেশের মেয়েরা খেলেছেন, তৃপ্তির জায়গা সেটিই, ‘বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে, তবে শিরোপা জেতাটা বড় কথা নয়, যে ধরনের ফুটবল মেয়েরা খেলেছে, সেটাই আনন্দের জায়গা।’
অধিনায়ক সাবিনা এমন সাফল্য আরও উপহার দিতে চান দেশের মানুষকে, ‘আমরা এই শিরোপা জিততে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত, আমরা দেশের মানুষের কাছে আশীর্বাদ চাই, যেন এমন সাফল্য আরও উপহার দিতে পারি।’
বিমানবন্দরে সাবিনা, ঋতুদের জন্য একটি ছাদখোলা বাস আগেই তৈরি ছিল। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেই বাসে চেপেই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে মতিঝিলের বাফুফে ভবনের দিকে রওনা হয়েছেন তাঁরা। সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের দেখতে রাস্তার দুই পাশে ভিড় করেছেন সাধারণ মানুষ।
বাফুফে ভবনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাফজয়ী নারী দলকে বরণ করে নেবেন।