খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলা হাইকোর্টে বাতিল

0
35
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি, নাশকতার অভিযোগে করা ১০টিসহ ১১টি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা পৃথক ১১টি আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুল চূড়ান্ত (অ্যাবসলিউট) করে এ রায় দেন।

আইনজীবী সূত্রগুলো বলছে, ১১টি মামলার মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানার ৭টি, যাত্রাবাড়ী থানার ৩টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি মামলা। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন জামিন ছিলেন।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ১১টি মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন খালেদা জিয়া। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময় হাইকোর্ট রুলসহ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। এই রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী কায়সার কামাল, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী ও মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, গাজী কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া ও আনিসুর রহমান রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত ওই সব মামলায় রুল অ্যাসলিউট করেছেন। এর অর্থ হলো, মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেল। এই মামলাগুলো আর থাকল না। একটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। এখানে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। সরকারে অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা যায় না। এ মামলা দায়েরে সরকারের কোনো অনুমতি ছিল না। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়। অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। রুল শুনানি শেষে এই মামলার কার্যক্রমও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা এসব মামলা থেকে তাঁকে আজ অব্যাহতি দেওয়া হলো।

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এর পর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.