হারিকেন নিয়ে কমলা ও ট্রাম্পের কথার লড়াই

0
8
কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফাইল ছবি: এএফপি

হারিকেন ‘মিল্টন’ আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। প্রবল এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে হারিকেন নিয়ে চলছে রাজনীতি। ঝড়ের পর সরকারি সহায়তার সমালোচনা করেছেন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের দাবি, ট্রাম্প মিথ্যা বলছেন।

মিল্টনকে বলা হচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেনের মধ্যে পঞ্চম। সপ্তাহ দুয়েক আগে ‘হেলেন’ নামের আরেকটি হারিকেন ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছিল। ফলে অঙ্গরাজ্যটির বাসিন্দাদের জন্য মিল্টন বাড়তি বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিল্টনের কারণে বিমাকারীদের ১০ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

হারিকেন মিল্টনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। তবে এর সমালোচনা করে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যা করা উচিত ছিল, তা তারা করেনি, বিশেষ করে নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে। হারিকেন হেলেনের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল নির্বাচনে ‘দোদ্যুলমান’ হিসেবে পরিচিত এ অঙ্গরাজ্য।

তবে হারিকেন–পরবর্তী সরকারি সহায়তা নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন কমলা হ্যারিস। বৃহস্পতিবার লাস ভেগাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না কর তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে হারিকেন হেলেন থেকে শুরু করে মিল্টন—দুই সপ্তাহে আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনেক মানুষ রাজনৈতিক খেলা খেলছেন।’

জরিপে এগিয়ে কমলা

আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্প ও কমলার জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি জরিপ করেছে রয়টার্স/ইপসস। এতে কমলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৪৬ শতাংশ ভোটার। ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া ৪৩ শতাংশ মানুষ। এর আগে গত ২০–২৩ সেপ্টেম্বর আরেকটি জরিপ চালিয়েছিল রয়টার্স/ইপসস। তাতেও ট্রাম্পের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন কমলা।

চার দিন ধরে করা সর্বশেষ এই জরিপ গত সোমবার শেষ হয়। এতে অর্থনীতিকে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে শনাক্ত করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। প্রায় ৪৪ শতাংশ বলেছেন, জীবনযাপনের খরচসংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে ট্রাম্প আরও ভালো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে অর্থনীতি ইস্যুতে কমলাকে সমর্থন জানিয়েছেন ৩৮ শতাংশ মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন সমস্যা নিয়েও জরিপে আলোকপাত করা হয়েছে। ‘অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের জননিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক’ এমনটা মনে করেন জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৫৩ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে এ ধারণার বিপক্ষে ৪১ শতাংশ। অথচ গত মে মাসে করা জরিপে অভিবাসনের ক্ষেত্রে বেশির ভাগই (৪৬ শতাংশ বনাম ৪৫ শতাংশ) বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.