তাদের আচার-আচরণ, অভিজাত জীবনযাপন দেখে চেনার উপায় নেই যে তাঁরা ঠিক কোন মহাদেশের। খোদ কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এটা রূপকথার গল্পের মতো। এই বিশেষ শ্রেণির ব্যক্তিরা থাকেন কানাডার বেগমপাড়ায়; যাঁদের বেশির ভাগের বাড়ির দাম প্রায় ৫০ কোটি, চড়েন দামি গাড়িতে। যাঁরা পার্টি আর বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে মেতে থাকেন। এমন পাঁচটি পরিবারের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘বেগমপাড়া’।
এই ওয়েব ফিল্ম বানিয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা কামাল হোসেন। তিনি জানান, কানাডায় তিনি দীর্ঘ সময় ধরে থাকেন। এই সময়ে দেশের একশ্রেণির মানুষের জীবন তাঁকে খুবই কৌতূহলী করে তোলে। তাঁরা কানাডার বেগমপাড়ায় থাকেন। যাঁরা অবৈধ আয়ে সমাজে একটা বিভেদ তৈরি করেছেন।
বাবর বলেন, ‘এই বেগমপাড়ায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। দামি গাড়ি, বাড়ি, পার্টিতে এরা মাতোয়ারা। যাঁদের কোনোভাবেই বাঙালি বলে মনে হয় না। এতটাই ব্যয়বহুল জীবন যাপন করেন। অথচ এই মানুষেরা কেউ বাংলাদেশে রাজনীতি করেন, কেউ হুন্ডি ব্যবসা করেন, কেউ অসৎ উপায়ে দেশ থেকে টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা দেশের ক্ষতি করে টাকা পাঠিয়েছেন। এটা আমরা সবাই জানি। তাঁদের গল্পটিই ওয়েবে উঠে এসেছে।’
এই ওয়েবে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ পাঁচ শ্রেণির মানুষের পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যাঁরা দেশে থেকে বিপুল টাকা অবৈধ পথে আয় করেছেন। সেই টাকায় স্ত্রী-সন্তানেরা যা ইচ্ছা, তা–ই করছেন কানাডায়—এমনটাই বললেন বাবর।
এই নির্মাতা বলেন, ‘এমনও পরিবার দেখেছি, যারা বেগমপাড়ায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় পার্টির আয়োজন করে। কেউ স্ট্যাটাস মেনটেইন করার জন্য কোটি টাকা খরচ করছেন। এগুলো আমাদের চোখে অসামঞ্জস্যভাবে ধরা দেয়। কিন্তু দিনে শেষে অবৈধ পথে আয় করা অর্থে, লুটের সম্পদে জীবনযাপনের পরিণতি কী হয়, সেটাও আমাদের দেখা আছে। সেই গল্পই আমি ফিকশন আকারে দেখাচ্ছি।’
জানা যায়, এ বছর শুরুর দিকে শুটিং শুরু হয়। বাংলাদেশ ও কানাডার প্রবাসী অভিনয়শিল্পীরা এখানে অভিনয় করেছেন। কলাকুশলী টিমও ছিল বাংলাদেশের। এখানে অভিনয় করেছেন আফরান আহমেদ, আসিফ নাসারি, উনাইশা নায়ির, ইশরাত জাহান, নায়মা ফেরদৌসী, ইফফাত শারমিন প্রমুখ। এটি শিগগির দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।