খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অন্তত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মৃধা। গতকাল শুক্রবার খাগড়াছড়ি সদর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন নিমন্ত ত্রিপুরা (২২), টুনশু চাকমা, সজীব চাকমা (১৯), প্রণয় চাকমা (১৯), কোষ চাকমা (২১), টিনটু চাকমা (১৯), অম্লান ত্রিপুরা (২০), আইকন চাকমা (২০), নিউটন মারমা (২০) ও অনিল চাকমা (১৯)। এর মধ্যে সজীব, প্রণয় ও কোষ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষক সোহেল রানাকে মারধরের পর বাথরুমে আটকে রাখা হয়। এ সময় ৪০০ থেকে ৫০০ উচ্ছৃঙ্খল জনতা ও শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন এবং শিক্ষক সোহেল রানাকে অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে পিটুনি দিয়ে ফেলে রাখেন। তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে জনতা ও শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। হামলায় সহকারী পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ পুলিশের পাঁচজন আহত হন। প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষকও ছাত্রদের উসকানি ও ইন্ধন জুগিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন বলেন, ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এর আগেও এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর একটি ধর্ষণ ও অপরটি সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলা।
১ অক্টোবর শিক্ষক সোহেল রানাকে ধর্ষণের অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়। এতে মহাজনপাড়া, পানখাইয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ধাওয়া, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।