অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে তাকে অবশ্যই জনগনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।
এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপির প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোড ম্যাপ চাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে যেন জামিন দেওয়া না হয়। সব গায়েবি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কথাও তোলা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের দেশত্যাগের ব্যাপারেও প্রধান উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু আমলা, সাবেক মন্ত্রী-এমপি দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখার কথা বলেছি। শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেও দুই-একজন আছেন, যারা গণঅভ্যুত্থান বিপ্লবের যে মূল স্পিরিট ব্যাহত করছে, তাদেরকে সরানোর কথা বলেছি।
এ ছাড়া ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সকল ভুয়া নির্বাচনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিও প্রধান উপদেষ্টার সামনে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার সংলাপের আহ্বানে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে যমুনায় প্রবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। ঘণ্টাখানেক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা।
সংলাপ শেষে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, তারা একটা ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য এসেছে। তাদেরকে বিভিন্ন রকম সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ তারিখ রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে জামায়াতের পক্ষ থেকে।