নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল উইলিয়াম মিলার বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বঙ্গভবনে তার কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তা এবং সংকটের টেকসই সমাধানের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা ইইউর প্রশংসা করি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আশা করছি জাতিসংঘ, ইইউ ও অন্য অংশীদাররা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
সাহাবুদ্দিন গত পাঁচ দশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য নিরসনের পথে বাংলাদেশের প্রতি ইইউ’র জোরালো সমর্থনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইউনিয়ন ইইউ এখন বাংলাদেশের রপ্তানি সবচেয়ে বড় গন্তব্য এবং উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী।
রাষ্ট্রপতি ২০২৯ সালে বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্কের বিস্তৃতি ও গভীরতা দেখতে আগ্রহী, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং সবুজ রূপান্তর, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ প্রসারের ক্ষেত্রে।
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসীর বিরুদ্ধে ইইউ’র সঙ্গে বৃহত্তর সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানায়।
সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ থেকে ইইউতে দক্ষ কর্মী ও পেশাজীবীদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনে আরও গভীর ও মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। সূত্র: বাসস