লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা এক প্রতিবেদনে জানায়, দক্ষিণ লেবাননের ওদাইসসেহ এলাকায় হিজবুল্লাহর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ইসরায়েল লেবাননে স্থল হামলা চালানোর ঘোষণার পর আজ (বুধবার) হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আলজাজিরা জানায়, ওদাইসেতে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর অতর্কিত হামলাকে হিজবুল্লাহর বিজয় হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ, এই হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের বিমনা হামলায় লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়। এরপর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু ‘প্রতিশোধহীন’ যাবে না। তিনি বিশ্বের মুসলিমদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এরপর ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সকাল (২ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর গ্লিলত ঘাঁটি ও মোসাদ হেডকোয়ার্টারকে লক্ষ্য করে রকটে হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলে মিসাইল ছুড়ে ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে। এর মূল্য দিতে হবে তাদের। জবাবে ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি জানিয়েছেন, পাল্টা হামলা হলে ইসরায়েলজুড়ে সব স্থাপনায় হামলা চালানো হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মিত্র হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে নানা সময় ছোট আকারে হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। বলা হয়, হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ইরান।
চলতি বছরের মে মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। যদিও অনেকের ধারণা এর পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। রাইসির মৃত্যু এক মাস পরই (জুলাই) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ‘গুপ্ত হামলা’ চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েলে ধারাবাহিক হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।