খাগড়াছড়ি জেলা সদর এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুজ্জামান।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে গণপিটুনি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সেখান হতে দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে চলন্ত টমটমের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিক্ষকের নাম আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা। তিনি ২০২১সালে ১০ম শ্রেণীর একছাত্রীকে ধর্ষণের কারণেে এত দিন জেলে ছিলেন। গতকাল আবারও ৭মশ্রেণীর একছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তিনি জেলা শহরের টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে ওই শিক্ষককে গণপিটুনি ও নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরের পানখাইয়া পাড়া সড়ক, মহাজন পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর লুটপাত ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।