বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে অবধারিতভাবেই নতুন মোড় নিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। দুদেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলোর দাবি, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পটভূমিতে এই মুহূর্তে বেশ শীতলতা বিরাজ করছে দুদেশের মধ্যে; যদিও সম্পর্কের উন্নয়নের উপায় খুঁজছে দুদেশই। এক্ষেত্রে বড় ক্রীড়ানক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেশের নতুন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাতের বিষয়টি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত সাক্ষাৎ হয়নি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সবশেষ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনেও মোদির সঙ্গে আলোচনায় বসার সময়-সুযোগ হয়নি ড. ইউনূসের। এ অবস্থায় আসন্ন কমনওয়েলথ সম্মেলন হতে পারতো আরেকটি মোক্ষম সুযোগ। কিন্তু সে সম্ভাবনাও আপাতত ভেস্তে গেছে। তবে, চলতি বছরই দুই সরকারপ্রধানের সাক্ষাৎ হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো–অপারেশনের (বিমসটেক) সামিটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ তথ্য দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নিউইয়র্কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। কারণ আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যেদিন নিউইয়র্কে পৌঁছেছিলেন, তার আগের দিন চলে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।’
কমনওয়েলথ সম্মেলনে সাক্ষাৎ হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথে সাক্ষাৎ হবে না। ওখানে যাবেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি যাবেন ব্রিকস সম্মেলনে। কারণ ব্রিকস তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য আমাদের প্রধান উপদেষ্টাও যাবেন না কমনওয়েলথ সম্মেলনে। হয়তো একটা সম্ভাবনা আছে আগামী মাসে। বিমসটেকের সম্মেলন হবে। তবে বিষয়টি এখনও প্রত্যাশিত, তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। সম্ভাবনা আছে নভেম্বরে এ সম্মেলন হবে, সেখানে হয়তো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ হবে।’
এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করে পারস্পরিক যে উদ্বেগ রয়েছে, তা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।