যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে নিহত ১০০

0
8
ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাত
ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় ৬ অঙ্গরাজ্যে এ পর্যন্ত ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে ওয়াশিংটনের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়াতে পারে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
 
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউস থেকে সরাসরি এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লিজ শেরউড-র‌্যান্ডওয়েল জানান, দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত উত্তর ক্যারোলাইনা থেকে ৩৯ জন, সাউথ ক্যারোলাইনা থেকে ২৫ জন, জর্জিা থেকে ১৭ জন, ফ্লোরিডা থেকে ১৪ জন, টেনেসি থেকে ৪ জন এবং ভার্জিনিয়া থেকে ১ জনের মরদেহ উদ্ধোর করেছেন। তবে আমাদের আশঙ্কা, এই ঝড়ে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে যেতে পেরে।
 
ঘূর্ণিঝড় হেলনকে ‘ভয়াবহ বিধ্বংসী’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমার জীবনে আমি এমন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় খুব কম দেখেছি। নিখোঁজদের অনুসন্ধান এবং উপদ্রুতদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা সর্বাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি।
 
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল।
 
বিধ্বংসী গতির এই ঝড়ের কারণে বিগ বেন্ড এবং তার আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। ব্যাপক ধ্বংসাত্মক হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আবহওয়া দপ্তর হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দিয়েছিল।
 
আমেরিকান রেড ক্রস জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে ১৪০ টিরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। প্রায় ২ হাজার মানুষ সেগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
 
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এফইএমএ) জানায়, ছয় ঘণ্টার মধ্যে হেলেন হারিকেনে রূপ নেয়। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, হেলেনের প্রভাবে ফ্লোরিডা উপকূলের কোথাও কোথাও ১৫ ফুট বা তার বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.