লেবাননে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ‘প্রতিশোধ ছাড়া ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার খবর প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গতকাল শনিবার এ কথা বলেন খামেনি।
হিজবুল্লাহর প্রধানকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে তাঁর হত্যার ঘটনায় ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন খামেনি। তিনি বলেন, হাসান নাসরুল্লাহর চিন্তাধারা ও দেখিয়ে যাওয়া পথ অটুট রাখা হবে।
কয়েক দিন ধরে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত শুক্রবার রাতভর রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় তারা ১৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এরপর গতকাল হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার খবর জানা যায়।
হিজবুল্লাহপ্রধান নিহত, মধ্যপ্রাচ্য অগ্নিগর্ভ: সর্বশেষ যা জানা গেল
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৈরুতে গত শুক্রবারের হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের একজন জেনারেল নিহত হয়েছেন।
এর আগে গত জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হানিয়া।
ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পেছনে ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান ও হামাস। এবার বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হলো।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের কাছে হামাস ও হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি এখন মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটা গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
বিবিসি