আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে গত সংসদ নির্বাচনে মাগুরা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাল্টে গেছে প্রেক্ষাপট। পটপরিবর্তনে সংসদ সদস্য পদ হারিয়েছেন। একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে তাকে। এ ছাড়া শেয়ার লেনদেনে কারসাজির অভিযোগে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই মধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এখনও দেশে ফেরেননি সাকিব আল হাসান। সবমিলিয়ে সময়টা তার প্রতিকূলে। কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি বদলে গেছে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। তবে নানা চাপের মধ্যে মনোযোগটা মাঠেই ছিল। আমি কীভাবে ধরে রাখছি সেটা আল্লাহ জানে। আমি নিজেও জানি না।
রাজধানী আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় অনেকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাকিবকে। বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, একটা মামলা হয়েছে, আসলে সবারই অধিকার আছে। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন, এটা কেমন ধরনের মামলা ছিল কিংবা আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। এই বিষয়টা নিয়ে আসলে খুব বেশি কথা বলতে চাই না।
শেয়ার কারসাজির জন্য ৫০ লাখ টাকা জরিমানা প্রসঙ্গে সাকিব আল হাসান বলেন, আমার জীবনে আমি আসলে নিজে থেকে কখনো ট্রেড করিনি, কেউ যদি এটা বলে-এ ট্রেডিং নিয়ে কথাও বলেছি, প্রমাণ দিলে আমি খুশি হবো। এসব আসলে এখন যে কেউ যে কারও মতো করতে পারে। এ জিনিসগুলো যদি সুন্দর করে বলত, আমার জন্য মানসিকভাবে ভালো হতো। কারণ, মিথ্যা অভিযোগগুলো আমার মনে হয় না ভালো কিছু করে দেশের জন্য বাইরের মানুষের কাছে। আমি যেহেতু ট্রেডই করিনি নিজ থেকে, স্বাভাবিকভাবে আমার ভুল করার বা ওটার সঙ্গে যে শব্দগুলো যোগ করা হয়েছে, সেটাও আমার জন্য দুঃখজনক।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে কেমন নিরাপত্তা পাবেন তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। সেখানে যাওয়া আমার জন্য সমস্যা হওয়া উচিত না। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কী হবে সেটাই উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশে যাওয়া কোন সমস্যা না। বাংলাদেশে বাস করা, নিরাপত্তা নিয়ে আমার স্বজন বন্ধুদের কাছে যা শুনেছি, তা উদ্বেগের। আশা করি, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। একটা সমাধান আসবে।