পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে এবার যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একই বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার এবং ডেভেলপমেন্ট ডাইরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান সাক্ষাৎ করতে এলে এ সহযোগিতা চান উপদেষ্টা।
ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী দাবি করে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চতর অবস্থায় উত্তরণ করা সম্ভব।
উত্তরে ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেরত আনার বিষয়ে সহযোগিতা করতে আমরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করছে এবং বিশেষায়িত দল গঠনের মাধ্যমে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করব আমরা।
এদিকে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জানান, বাংলাদেশ এবং গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে ১৯ জুন ১৯৮০ সালে একটি দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ ও সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। চুক্তিটি হালনাগাদ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, চামড়া, চিনি, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, সার, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, পরিবেশ এবং জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এবং অন্যান্য উপযুক্ত সেক্টরে যুক্তরাজ্যকে আরো বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বৈঠকে।