পাচারের অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

0
48
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক বড় বড় অপরাধী বিপুল পরিমাণ অর্থ কানাডায় পাচার করে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কানাডার হাইকমিশনার জানালেন, অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ। তবে অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ও চিঠি প্রেরণের অনুরোধ করেন তিনি।

কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পাচারের অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, কানাডাসহ বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, পুলিশ সংস্কার, কৃষি খাতে সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে হাইকমিশনার কানাডাসহ বিদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চান। জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশিদের আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমরা তাদের জন্য পরিপূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব শিগগিরই আরও সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে কানাডার হাইকমিশনার উদ্বেগ প্রকাশ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী মিয়ানমারের নাগরিকসহ সেখানে কাজ করা দেশি-বিদেশি এনজিও কর্মী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কানাডাতে কিছু রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের অনুরোধ করেনও তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কারে কানাডার সহায়তা চান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ নিয়ে কানাডার হাইকমিশনার বলেন, পুলিশ প্রশিক্ষণে কানাডার সহযোগিতা বিষয়ক একটি প্রকল্প বাংলাদেশে চালু রয়েছে। এটিকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ নিয়ে কানাডা আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। আর বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তরে কানাডার অর্থায়নে ‘কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে উপদেষ্টার সহযোগিতা চান দেশটির হাইকমিশনার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.