শেখ হাসিনাসহ গণহত্যা মামলার আসামিরা চাইলে বিদেশি আইনজীবী রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিদেশি আইনজীবী রাখার বিষয়ে প্রসিকিউশন টিমের কোনো আপত্তি থাকবে না। ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রসিকিউশন টিমের যা যা করা দরকার সেটা করবে।
এ সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় হতাহতদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা নিয়েছে বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যা ও আহতদের তথ্য চেয়ে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, কবরস্থান দেখভালে দায়িত্বরতসহ সকল জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা মেডিকেলে আন্দোলনে আহতদের অবস্থা পরিদর্শন ও বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। আহতদের সবার পরিবার দ্রুত বিচার চেয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হবে না।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলামসহ চারজন প্রসিকিউর নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পাওয়ার পর রোববার (৮ আগস্ট) থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরু থেকে সারাদেশে আন্দোলনে নামেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আন্দোলনে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা। পরে সেই হামলা রূপ নেয় হত্যা ও গণহত্যায়।
তৎকালীন সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৬০০ এর বেশি আন্দোলনকারী প্রাণ হারান। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা।