রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিয়েছে টাইগাররা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে ১৫৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১০ উইকেট শিকার করে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।এই পুরস্কারের অর্থ জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র আন্দোলনে নিহত একজন রিকশাচালকের পরিবারকে দান করার ঘোষণা দিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই-আগস্টে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। এই আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী ছাড়াও সাধারণ মানুষ, পথচারী, রিকশাওয়ালাসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক রিকশাওয়ালার মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েছেন মিরাজ। আন্দোলনে শহীদ হওয়া ওই রিকশাওয়ালা পরিবারের হাতে সিরিজসেরার প্রাইজমানি বাবদ পাওয়া অর্থ তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার টাকার কিছু বেশি।
পুরস্কার নেয়ার সময় মিরাজ বলেন, দেশ অনেক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় এক রিকশাচালক আহত হন, পরে তিনি মারা গেছেন। এই ম্যাচ সেরার অর্থ আমি তার পরিবারকে দিয়ে পাশে দাঁড়াতে চাই।
এর আগে সিরিজ সেরা হওয়ার বিষয়ে মিরাজ বলেন, অলরাউন্ডার হিসেবে আমার কাজটা কঠিন ছিল। তবে আমি মুশফিক ও লিটনের সঙ্গে স্ট্রাইক রোটেড করে খেলতে চেয়েছিলাম। পাঁচ উইকেট পাওয়ায় সত্যিই খুশি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলাম না, যে কারণে দেশে টেস্টের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় পেয়েছি। যে কারণে টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে দু’টি ফিফটিতে ১৫৫ রান করেছেন মিরাজ। তার দুটি ইনিংস ছিল ৭৮ এবং ৭৭ রানের। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেন। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন ১৬৫ রানের জুটি। দুই টেস্ট মিলিয়ে বল হাতে মিরাজ শিকার করেছেন ১০ উইকেট।