ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সরকারপ্রধানের পদত্যাগের পরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা সংঘটিত অন্যায় ও অনিয়ম নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মানুষ। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। এবার এক নির্মাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে নাম প্রকাশ না করে একজন নির্মাতার বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক পাওনাসহ নানা অভিযোগ করেন এলিনা শাম্মী। এই অভিনেত্রী লিখেছেন, যে নির্মাতা সাবেক সরকারের আমলে দালালি, চাটুকারিতা, তোষামোদি করে টিকে থেকেছে, শিল্পীদের দিয়ে কাজ করিয়ে পারিশ্রমিক দেয়নি, তার মুখে নীতিবাক্য মানায় না। কথার ফুলঝুরি ছড়িয়েছে সবসময়। চাপাবাজিতে সে বদ্ধপরিকর।
সেই নির্মাতাকে উদ্দেশ করে তিনি শাম্মী লেখেন, এতো চেহারা পাল্টিয়ে কী হবে? চেহারা পাল্টিয়ে অন্যায় করে কেউ ছাড় পায়নি এ পর্যন্ত, আপনিও পাবেন না। তাই এসব নটাংকি বাদ দেন। নিজেকে পারলে শুধরান, নয়তো চুপ থাকেন। আপনাকে মানুষ চেনে, এসব নীতিবাক্য দিয়ে একজন হাসির পাত্র সাজছেন।
অভিনেত্রী এলিনার সেই স্ট্যাটাস নজরে এলে মন্তব্যের ঘরে সেই পরিচালকের নাম জানতে চান নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন– ওই পরিচালকের নাম আড়াল করা হচ্ছে কেন?
অবশ্য এর জবাবও দিয়েছেন তিনি। শাম্মী লিখেছেন, সামনে তার একটা সিনেমা রিলিজ হবে, তাই তার নামটা বলিনি। চাই না সিনেমাটির ক্ষতি করতে। তবে বলব, সিনেমা রিলিজের পর।
ওই রাতেই সিনেমা নির্মাতা অনন্য মামুন লেখেন, ‘একজন অদক্ষ অভিনেতা আমার সিনেমায় কাজ না করতে পেরে এখন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। টিজারে নিজের মুখটা না দেখতে পারাই কি কষ্ট?’
এরপরেই অনেকে ধারণা করেন, অনন্য মামুনের বিরুদ্ধেই এমন পোস্ট দিয়েছেন এলিনা। কারণ মুক্তির অপেক্ষায় আছে মামুনের ‘দরদ’। এ সিনেমায় এলিনা অভিনয় করলেও টিজারে তাকে দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, নির্মাতা শাহ আলম কিরণের ‘একাত্তরের মা জননী’র মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক ঘটে এলিনা শাম্মীর। এরপর নাটক ও সিনেমায় নিয়মিত কাজ শুরু করেন। সবশেষ বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত ‘ছায়াবৃক্ষ’তে দেখা গেছে তাকে। আর শাকিব খান অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘দরদ’-এ একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।