মেহজাবীনের প্রথম সিনেমাতেই সুখবর

0
64
মেহজাবীন চৌধুরী, ফেসবুক থেকে

টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (টিআইএফএফ) ডিসকভারি প্রোগ্রামে জায়গা করে নিয়েছে মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’। মাকসুদ হোসেন পরিচালিত ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে উৎসবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে উৎসবের ৪৯তম আসর, চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ডিসকভারি প্রোগ্রামে ‘সাবা’ ছাড়াও জায়গা পেয়েছে ২৩টি সিনেমা।

বড় উৎসবে ছবিটি প্রদর্শনী হচ্ছে, একজন শিল্পী হিসেবে এটি আমার সৌভাগ্য। ক্যারিয়ারের জন্য অনেক বড় অর্জন। এখন মনে হচ্ছে, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর প্রথম সিনেমা হিসেবে এ গল্প বাছাই করার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল।

মেহজাবীন চৌধুরী

টরন্টো উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে জায়গা করে নিয়েছে ‘সাবা’, এমন খবরে উচ্ছ্বসিত মেহজাবীন। নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিনেত্রী

মেহজাবীন চৌধুরী, ফেসবুক থেকে
১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ২০২৩ সালে নিজের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সাবা’র কাজ শেষ করেছেন মেহজাবীন, ফেসবুক থেকে

মেহজাবীন বলেন, ‘আমার প্রথম ছবি এটি। খুব ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে যখন মুক্তি পাবে, তখন আপনজন, সহশিল্পীরা মিলে একসঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবিটি দেখব। কিন্তু তার আগে ছবিটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুক্তির সুযোগ পেয়ে গেল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টরন্টোর মতো বড় উৎসবে মনোনীত হয়েছে, এটি আমার কল্পনার বাইরে ছিল। তবে যা হয়, ভালোর জন্য হয়। এটি আমাদের পুরো টিমের জন্য বড় পাওয়া।’

মেহজাবীন মনে করেন, এ উৎসবে তাঁর অভিনীত সিনেমার প্রদর্শনী তাঁর ক্যারিয়ারকে আরও সমৃদ্ধ করবে। মেহজাবীনের ভাষ্যে, ‘বড় উৎসবে ছবিটি প্রদর্শনী হচ্ছে, একজন শিল্পী হিসেবে এটি আমার সৌভাগ্য। ক্যারিয়ারের জন্য অনেক বড় অর্জন। এখন মনে হচ্ছে, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর প্রথম সিনেমা হিসেবে এ গল্প বাছাই করার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল।’

মেহজাবীন চৌধুরী
মেহজাবীন চৌধুরী, ফেসবুক থেকে

প্রায় ১৪ বছর ধরে বিনোদনের নানা মাধ্যমে কাজ করে আসছেন মেহজাবীন। নাটক, বিজ্ঞাপন, ওটিটিসহ সব মাধ্যমে কাজ করলেও বাকি ছিল বড় পর্দায় অভিনয়। তবে ভেতরে-ভেতরে সিনেমা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি।

মেহজাবীন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিনোদনের নানা মাধ্যমে কাজ করলেও সিনেমাটা করা হচ্ছিল না। যেখানেই যেতাম, প্রশ্নের মুখোমুখি হতাম, কেন আমি সিনেমা করছি না? তবে আমি সিনেমা করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভেবেছিলাম, মনের মতো করেই প্রথম সিনেমাটি করতে চাই। যে সিনেমা নিজের কাছেও স্মৃতি হয়ে থাকবে, দর্শকও সারা জীবন মনে রাখবেন। যে ছবির মান, গল্পের গভীরতা—সবই যেন দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তেমনই একটা গল্প, চরিত্র পেয়ে গেলাম।’

চলচ্চিত্র নির্মাতা মাকসুদ হোসেন
চলচ্চিত্র নির্মাতা মাকসুদ হোসেন, ছবি : নির্মাতার সৌজন্যে

মেহজাবীন আরও বলেন, ‘ছবিটির গল্প শোনার পর থেকে নিজেই বুঝতে পারছিলাম, এটাই হবে আমার প্রথম ছবি। সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথম ছবি হিসেবে এটি করার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, সেটির প্রমাণ এখন পাচ্ছি।’

যৌথভাবে ‘সাবা’র গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন মাকসুদ হোসেন ও ট্রিলোরা খান। পরিচালক মাকসুদ হোসেনেরও এটি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

টরন্টো উৎসবে নিজের সিনেমা মনোনীত হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘২১ বছর ধরে প্রচুর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়েছি, বিজ্ঞাপনচিত্র পরিচালনা করেছি। স্বপ্ন ছিল, একদিন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানাব। গত বছর সেই স্বপ্ন পূরণ করেছি। নিজের প্রথম ছবি এত বড় উৎসবে প্রদর্শনীর সুযোগ পাবে, খবরটি আমাকে আপ্লুত করেছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.