বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের টানা দরপতন

0
49
রাশিয়ার একটি ক্রুড অয়েল টার্মিনাল। ছবি: রয়টার্স
চীনে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে কমে গেছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারেও। বলা যায়, টানা দরপতন হচ্ছে জ্বালানি তেলের।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর সামান্য বাড়লেও গত তিন সপ্তাহের হিসাবে তা বাড়েনি। খবর রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়, জ্বালানি তেলের টানা দরপতনের অন্যতম কারণ হলো, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ চীনে তেলের চাহিদা কমে যাওয়া। তাছাড়া, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনাও আরেকটি কারণ।

তথ্য বলছে, আগামী সেপ্টেম্বরের জন্য ব্যারেলপ্রতি ক্রুড তেলের দাম ১৫ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ বেড়ে ৮২.৫২ ডলার হয়েছে। তাছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টার মিডিয়েটের দাম ১৩ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ বেড়ে ৭৮.৪১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
 
দ্বিতীয় প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকায় তেলের দাম সামান্য বেড়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
 
যদিও গত তিন সপ্তাহে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম কমেছে ৫ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে ব্রেন্ট সামান্য কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টার মিডিয়েটের দাম কমেছে দুই শতাংশের বেশি।
 
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে জুন মাসে চাহিদা কমেছে ৮.১ শতাংশ, যা দৈনিক হিসাবে ১৩.৬৬ মিলিয়ন ব্যারেল।
 
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানায়, গত সপ্তাহে দেশটিতে ৩৭ লাখ ব্যারেল কম অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা হয়েছে। এতে গ্যাসোলিনের মজুত কমেছে ৫৬ লাখ ব্যারেল।
 
বিশ্লেষকরা বলছেন, পেট্রোল ও ডিজেলের চাহিদা কমেছে চীনে। কারণ দেশটিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় দরপতন হচ্ছে জ্বালানি তেলের।
মাহমুদ শামসুল আরেফিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.