দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপে টিকে রইলো বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনের ফিফটিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগ্রেসরা।
আগে ব্যাট করে, রাবেয়ার বোলিংয়ে তোপে মোটে ৯৬ রানে থামে থাইল্যান্ড। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা রাবেয়া খান।
দুই সিরিজ আর টানা ১২ ম্যাচে হার। জিততে ভুলে যাওয়া একটা দলের কাছে এই বাউন্ডারির মাহত্ব্য অন্যরকম। এ জয় স্বস্তির, শোধের। খাদের কিনারা থেকেও ফিরে আসার, টুর্নামেন্টে টিকে থাকার। হোকনা মামুলি টার্গেট, হোকনা প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড।
এতো গেলো শেষের গল্প। ব্যাটিংয়ের শুরুতে ছিল মুর্শিদার ঝলক।
এর আগে থাইল্যান্ডের ব্যাটিং গল্প বদলে যায় এই একটা সিদ্ধান্তে। আম্পায়ারের বদান্যতায় নিশ্চিত এলবিডব্লুতে কাটা পরা থেকে বেঁচে যান নাত্তায়া বোচাত্থাম। আফিসারার সঙ্গে তার ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি পরিস্থিতির বিবেচনায় শঙ্কার কারণ আছে যথেষ্ট। এ দফায় ত্রাতা লাস্যময়ী রাবেয়া। ব্যাক টু ব্যাক ফেরান আফিসারা আর নান্নাপাত কনসারনকাইকে।
এরপর জুজুর ভয় কাটিয়ে আটোসাটো বোলিং টাইগ্রেসদের। বোঝাই গিয়েছিলো নাহিদাকে নিয়ে বেশ কাজ করেছে থাইল্যান্ড। অন্যবোলারদের চার্জ করতে গিয়েই উইকেট হারিয়েছে দ্রুত। যে উৎসবে যোগ দেন রিতু জেসমিনরাও।
থাই ব্যাটাদের আসা যাওয়ার মাঝে একাই লড়েছেন বোচাত্থাম। তবে চলতি এশিয়া কাপের সেরা বোলিং করে রাবেয়া লিড ফ্রম দ্যা ফ্রন্ট। ৪০ রানে বোচাত্থাম ফিরলে একশ’র আশা কার্যত শেষ হয়ে যায় থাইল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত তাদের দেয়া ৯৭ রানের টার্গেটে ১৫ বল হাতে রেখেই পৌঁছে যায় টিম টাইগ্রেস।