হঠাৎ করেই বাজারে বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম। বিশেষ করে স্থানভেদে ডিমের ডজন এবং ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রায় ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই। কারফিউর সুযোগ কাজে লাগিয়ে একাধিক চক্র ডিম-মুরগির বাজারে কারসাজি করছে বলে উঠেছে অভিযোগ।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের দামের তুলনায় মুদির দোকানে ডজনপ্রতি ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে ডিম।
এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ঠেকেছে ১৮০-১৯০ টাকায়। এলাকাভিত্তিক কিছু বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে। তবে পোল্ট্রি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব খাদ্যপণ্য কারফিউয়ের আওতাধীন না হওয়ায় এ দাম বাড়ানো বাজারে কারসাজি তৈরি ছাড়া আর কিছু না।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, কেজিপ্রতি মুরগির পেছনে ১৭৫ টাকা খরচ হলেও এ কয়দিনে মুরগি বিক্রি করতে হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজিতে। পাইকাররা এত সস্তায় মুরগি কিনে বাজারে বিক্রি করছে উচ্চমূল্যে।
একইভাবে ডিমের ক্ষেত্রে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রসঙ্গ টেনে সুমন বলেন, পাইকাররা গাড়ি নিয়ে এসে এক জায়গা থেকে একবারে বেশি ডিম কিনছে না। নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে গাড়ি ভর্তি করছে তারা। খামারিদের বলা হচ্ছে, ঢাকায় ডিমের চাহিদা নেই, তাই দাম বেশি দেয়া যাবে না।
অন্যদিকে কারফিউ তুলে নেয়া হলেও ডিম-মুরগির বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করবে জানিয়ে সুমন বলেন, সব দেশে পোল্ট্রি ফিডের দাম কমানো হলেও বাংলাদেশে এখনো দাম হ্রাস করা হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে দেশে ডিম-মুরগির বাজারে স্বস্তি আসবে না।