কোটা সংস্কার ইস্যুতে চলমান ঘটনা নিরসনে বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রোদ্রোহিতা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে পত্রিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের একটি বিবৃতি দেখেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মানুষ মারা গেছেন বলে তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ব নেতাদের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থাৎ, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশিদেরকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন হস্তক্ষেপ করার জন্য। এটি রাষ্ট্রবিরোধী।’
এদিকে, বাংলাদেশের রাস্তায় রক্ত ঝরছে-পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ভারতকে বাংলাদেশ লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। কিন্তু তার বক্তব্যে অনেকটা বিভ্রান্তি রয়েছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য আমরা তার এ বক্তব্যের ব্যাপারে ভারত সরকারকে ইতোমধ্যে লিখিতভাবে নোট দিয়ে জানিয়েছি।’
এ অবস্থায় নানা গুজব রুখতে বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিজস্ব কনটেন্ট বানিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা আমাদের মিশনগুলোকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি।
এছাড়া ছাত্রদের আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার স্থানগুলো কূটনীতিকদের ঘুরে দেখানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে; জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে- সেখানে তাদেরকে আমরা প্রয়োজনে নিয়ে যাবো। আমরা আগামীকাল বুধবার (২৪ জুলাই) সেটির আয়োজন করতে যাচ্ছি।’
আর খুব শিগগিরই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে উল্লেখ করে বিদেশি কূটনীতিকদের দেশ ছাড়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।