কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

0
50
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকার শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

এ বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। তারা বলেছে যে তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। আমরাও চাই তারা পড়ার টেবিলে ফিরুক। তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তারা সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে। সরকারও সমাধানই করতে চায়।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীরা আলোচনার পথে যেতে চায়। সরকারের পক্ষ থেকেও আলোচনার দরজা খোলা আছে।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা সবচেয়ে ইতিবাচক যে বক্তব্যটি দিয়েছে তা হলো, চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদির সঙ্গে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ কোনোভাবেই জড়িত নয়। অর্থাৎ, তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও সন্ত্রাস হচ্ছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই যে তারা এই সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে নিন্দা জানিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য একই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন শিক্ষার্থীরা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নয়, এখানে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা আরও বলেছে, চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নেবে না। আমরা মনে করি, যেহেতু আন্দোলনের ভেতরে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উপাদানগুলো দৃশ্যমান, কাজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা পরিষ্কার বলেছে, তাদের আন্দোলনকে কেউ যেন ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা না করে। অর্থাৎ, সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা আছে, যা আমাদেরও অভিমত এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে এ বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।’

এ অবস্থায়, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন এবং আমরা মনে করি, তৃতীয় পক্ষের অসাধু সুযোগ নেওয়ার অপচেষ্টা রোধের জন্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চাই, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য অনুযায়ী পড়ার টেবিলে ফিরতে পারেন।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.