সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন হওয়ায় তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। সোমবার (৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে প্রাঙ্গণে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, আদালত (হাইকোর্ট) একটি রায় দিয়েছেন। সেই (হাইকোর্ট) রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গেছে সরকার। এই মুহূর্তে রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা তাদের (শিক্ষার্থীদের) উচিত হবে না।
তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, এটি নিয়ে রাস্তায় নামা উচিত নয়। তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করব। জানি না কেন তারা আন্দোলন করছে। এ নিয়ে আন্দোলন না করাই ভালো।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে আদালত কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারে, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর তার কার্যালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। বিষয়টি (হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আবেদন) বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে ওঠার কথা রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেলে আপিল বিভাগে আপিল করব।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ ও এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি মুলতবি করে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দাখিল করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াৎ লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন।