গাজায় নৃশংসতা যুদ্ধবিরতির ক্ষীণ আলো

0
76
গাজায় ইসরায়েলের ট্যাঙ্ক।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কাতারের দোহা সফর করেছেন। সফরকালে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আশার সঞ্চার করলেও ইসরায়েল সরকার বলছে, দুই পক্ষের মধ্যে এখনও ব্যবধান রয়ে গেছে।শনিবার বিবিসি এ খবর জানায়।

সম্প্রতি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় এ আলোচনা চললেও তাতে ফলপ্রসূ কিছু আসেনি। আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকেন। হামাসের দাবি, ইসরায়েল যেন গাজা থেকে পুরোপুরি তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। অন্যদিকে, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে যান নেতানিয়াহু। এ নিয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চাপের মুখে আছেন তিনি। তাঁর পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে।

কাতারে আলোচনা নিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, দু’পক্ষের মধ্যে এখনও ফাঁক রয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া সর্বশেষ তিন পর্যায়ের প্রস্তাবের পর এ আলোচনা আশা সঞ্চার করেছে। বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা যেন বন্ধ হয়।

এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩৮ হাজার ১০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের বিমান হামলায় আহত শিশুদের অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। আলজাজিরা জানায়, গতকাল শনিবার ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে আরও ২৯ জনের। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিকও রয়েছেন। তাদের গাজা সিটি ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হত্যা করা হয়েছে।

জ্বালানি সংকটের কারণে গাজায় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাশেম ব্রিগেড বলেছে, তাদের প্রতিরোধে গাজার সুজাইয়ায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.