দুই দিনের সফরে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ জুন) প্রথম প্রহরে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজের পাহারায় অন্তত একটি যুদ্ধবিমান ছিল। বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানিয়েছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। খবর বিবিসির।
উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে, পুতিন মঙ্গলবার পূর্ব সাইবেরিয়ার ইয়াকুতস্ক শহরে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি উত্তর কোরিয়ার দিকে যাত্রা করেন।
পুতিন সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া সফরে এসেছিলেন ২৪ বছর আগে ২০০০ সালের জুলাইয়ে। গত বছরের সেপ্টেম্বর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন। তখন তিনি পুতিনকে পিয়ংইয়ংয়ে নিমন্ত্রণ জানান। সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজ দেশটিতে সফরে এসেছেন পুতিন।
পুতিনের সফরসঙ্গী হিসেবে রাশিয়ার বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং জ্বালানি বিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তিনি বলেছেন, চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে। গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে যা ঘটেছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই এই চুক্তি করা হবে। তবে চুক্তিটি কোনো নির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে নয়।
এদিকে পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরকে ইতিবাচকভাবে দেখছে না দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন মার্কিন উপ-রাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেলের সঙ্গে পুতিনের এই সফর নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কা, পুতিনের এই সফরের ফলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন হবে।
উত্তর কোরিয়া সফর শেষে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার (২০ ও ২১ জুন) ভিয়েতনাম সফরে যাবেন পুতিন। তার এই সফরের কথা কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, তবে দিনক্ষণ এতদিন ঘোষণা করা হয়নি।