এসি বিস্ফোরণ: একে একে চলে গেলেন পরিবারের চার সদস্য

0
80
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
বাবা, সন্তান ও বোনের পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন রকসি আক্তার (২০)। রোববার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জন ডা. আহমেদুর রহমান সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় এ নিয়ে একই পরিবারের দগ্ধ চার সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হলো।
রকসির শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
 
এর আগে ১২ জুন ভোরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে রকসির ছেলে আয়ান (৩) মারা যায়। ১৩ জুন ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান রকসির বোন ফুতু আক্তার (১৮)। শনিবার রকসির বাবা আব্দুল মান্নান (৬০) মারা যান। তার ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
 
গত ১০ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের একটি ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
 
রকসি আক্তারের দেবর আহমেদ মোস্তফা জানান, তাদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামে। আয়ানের বাবা সিরাজুল মোস্তফা দুবাই প্রবাসী। আয়ানের মা রকসির ব্রেইন টিউমার হয়েছিল। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। ১ জুন সপরিবারে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। হাসপাতালসংলগ্ন ভবনের নিচতলায় একটি বাসায় ভাড়ায় উঠেন। সেখান থেকে নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.