চলমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ‘বি’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে এই ম্যাচে স্পেনের কাছে পাত্তার পায়নি ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া বড় ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে ২০১২ সালের ইউরোজয়ীরা।
শনিবার (১৫ জুন) অলিম্পিয়াস্টেডিয়ন বার্লিনে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন। তিনটি গোল করেছেন আলভারো মোরাতা, ফাবিয়ান রুইজ এবং দানি কারবাহাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে স্পেন। প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগে পরীক্ষা নিয়ে ৩ গোল করে দলকে আগেই এগিয়ে রেখেছিল তারা। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইজের বাড়ানো বল থেকে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে নেন আলভারো মোরাতা।
এর তিন মিনিট পর দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করে প্রথম গোলে অবদান রাখা ফাবিয়ান রুইজ। ৩২তম মিনিটে পেড্রির পা থেকে বল পেয়ে ডান দিক থেকে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল পাঠান এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। এরপর গোল শোধ করতে চেষ্টা করলেও স্পেনের রক্ষণভাগের কঠিন পরীক্ষা নিতে পারেননি মদ্রিচরা।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে যখন বিরতিতে যাওয়া পরিকল্পনা করছে স্পেন, তখন বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় তারা। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মোরাতার নেওয়া সেই ফ্রি-কিক থেকে বলে পা ছুঁয়ে ব্যবধান বাড়ান ডিফেন্ডার দানি কারবাহাল। এতে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন।
৩-০ গোলের ব্যবধানের বোঝা মাথা নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেও অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। স্পেনের বক্সের কাছে এসে বার বার ভুল করেছে মদ্রিচ-পেরিসিকরা। ৬৪ মিনিটে একাধিক পরিবর্তন আনে দুই দল।
স্পেন দলপতি মোরাতার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আরেব স্ট্রাইকার মিকেল ওয়ারজাবাল এবং পেড্রির জায়গায় সুযোগ পান দানি ওলমো। স্পেনের তৃতীয় পরিবর্তন নিকো উইলিয়ামসের জায়গায় মিকেল মেরিনো।
অন্যদিকে অভিজ্ঞ লুকা মদ্রিচকেও তুলে নেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মারিস পাসালিচ। এ ছাড়াও মাতেও কোভাচিচকে তুলে নিয়ে লুকা সুচিচকে দেওয়া হয় মাঝ মাঠে দায়িত্ব দেওয়া।
৭২তম মিনিটে আন্দ্রেজ ক্রামারিচে তুলে নিয়ে ব্রুনো পেটকোভিচে মাঠে নামালে আক্রমণে কিছুটা ধার বাড়ে ক্রোয়েশিয়ার। সেই সঙ্গে ৬ মিনিটের মধ্যে গোলের দেখাও পেয়ে যায় তারা।
৭৮তম মিনিটে পেটকোভিচকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে রোদ্রি। এতে পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পেটকোভিচ। পেনাল্টি মিস করলেও দ্বিতীয় ধাপে বল জড়ান তিনি। তবে ভিআরে গোল বাতিল করেন রেফারি।
এরপর একাধিক সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি কোনো দল। এতে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন।