শবনম বুবলী। চিত্রনায়িকা। ঈদুল আজহায় তাঁর অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। এ ছাড়া ঈদের পর মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর অভিনীত ‘জংলি’ ছবিটি। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
গত ঈদে মুক্তি পেল ‘দেয়ালের দেশ’। এবার মুক্তি পাচ্ছে ‘রিভেঞ্জ’। ঈদের মতো উৎসবে ছবি নিয়ে আসাটা কতটা সৌভাগ্যের মনে হয়?
ঈদে মানুষ সিনেমা হলে বেশি আসে। ঈদ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে সিনেমা হলে এসে সিনেমা দেখা। এমন উৎসবে সিনেমা মুক্তি পাওয়াটা অবশ্যই সৌভাগ্যের। দর্শকদের জন্য ঈদের সিনেমা হচ্ছে আমাদের পক্ষ থেকে উপহার।
গত ঈদে ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমাটি নিয়ে যে প্রশংসা পেয়েছিলেন, এবারের ঈদে ‘রিভেঞ্জ’ নিয়েও কি তেমন প্রশংসা পাবেন?
‘দেয়ালের দেশ’-এ ভিন্ন ধরনের একটি গল্প বলেছিলেন পরিচালক মিশুক মনি। দর্শকরা তাঁর গল্প বলাটা দারুণ প্রশংসা করেছেন। এবারের ঈদে যে ‘রিভেঞ্জ’ মুক্তি পাচ্ছে, সেটি অন্য ধরনের গল্প। বলা যায় অ্যাকশন টাইপ। তবে রিভেঞ্জ নিয়েও আমি আশাবাদী। এখানে আমার পার্টে আমি ভালো করার চেষ্টা করেছি। কতটা পেরেছি তা দর্শক সিনেমা হলে গিয়েই দেখবেন।
গত ঈদে আপনার ছবি নিয়ে রিভেঞ্জ ছবির পরিচালক বেশ উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়েছিলেন। এবার কি তাঁর ছবির প্রচারণায় থাকছেন?
কে কী বলল, সেটা ভেবে বসে থাকলে তো হবে না। রিভেঞ্জে আমি অভিনয় করেছি। সে অর্থে এটা আমারও ছবি। তাই আমি আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব প্রচারণায় থাকার চেষ্টা করছি। শুধু এই ছবি না। আমার অভিনীত প্রতিটি ছবি নিয়েই আমি সাধ্যমতো প্রচারণায় থাকার চেষ্টা করি। কখনও চাই না আমার কারণে কোনো ছবি ক্ষতির মুখে পড়ুক।
রিভেঞ্জে আপনার চরিত্রটি কেমন?
ছবিটিতে নায়ক হিসেবে আছেন জিয়াউল রোশান। আমি এই ছবিতে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ধরনের চরিত্রে এবারই প্রথম অভিনয় করছি। খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র। কাজটি করতে অনেক হোমওয়ার্ক করতে হয়েছিল।
ঈদে তো শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’ ছবিটিও মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবির বিপরীতে ‘রিভেঞ্জ’ কতটা দর্শক টানতে পারবে?
শাকিব খান আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। তাঁর ছবি মানেই দর্শকদের কাছে বাড়তি আগ্রহের ও উৎসবের। তাঁর ছবি তো দর্শক টানবেই। তুফানের প্রতি আমার শুভকামনা থাকবে। একই সঙ্গে দর্শকদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন রিভেঞ্জ ছবিটিও দেখেন। এর বাইরে আপাতত তো আর কিছুই বলার নেই। প্রত্যাশা থাকবে রিভেঞ্জও ভালো দর্শক টানুক।
সিনেমার বাইরে ঈদের পরিকল্পনা কী?
যেহেতু কোরবানির ঈদ। তাই কোরবানির বিষয়টি তো থাকছেই। এই ঈদটি তো কোরবানি ও মাংস বিতরণ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। বাকি সময় তো মা-ছেলে ও পরিবারের সদস্য নিয়েই ঈদ আনন্দ উপভোগ করা হবে।