গাজীপুরের যানজটে ঢাকায় বাস ফিরছে দেরিতে। ফলে রাজধানীর মহাখালী টার্মিনালে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার বেলা ১২টায় দেখা যায়, হাজারো যাত্রী বাসের অপেক্ষায় তীব্র গরমে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। তাদের ভোগাচ্ছে বাড়তি ভাড়াও। এনা পরিবহন ছাড়া মহাখালী থেকে চলা সব পরিবহনের বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
মহাখালী টার্মিনালের পরিবহনগুলো আগাম টিকিট বিক্রি করে না। এখান থেকে উত্তরবঙ্গ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের বাস চলে। শনিবার দুপুরে এনা পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের সামনে দেখা গেছে হাজারখানেক যাত্রীর দীর্ঘ সারি। সারির শুরুর দিকে ময়মনসিংহের যাত্রী আবু নেসার সুখন বলেন, দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। টিকিট দিচ্ছে না।
এনা পরিবহনের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম খালেদ বলেন, সকাল থেকে ৬৩টি বাস ছেড়েছে। ৬৫ নম্বর পর্যন্ত বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। পরবর্তী বাসগুলো কখন ঢাকায় ফিরবে, নিশ্চয়তা নেই। তাই টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। বাস আসার খবর এলে বিক্রি শুরু হবে।
১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে শনিবার ময়মনসিংহ থেকে ফিরতেই ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা লাগছে বলে জানান এস এম খালেদ। তিনি বলেন, শুধু গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী নয়, এর আগের প্রতিটি মোড়ে গাড়ির চাপ ও যানজট রয়েছে। তাই দ্বিগুণ সময় লাগছে। বাস সময়মতো না ফেরায়, ছাড়তেও দেরি হচ্ছে।
নারী যাত্রীদের কাউন্টারে দুই সন্তান নিয়ে অপেক্ষায় থাকা নিলুফার আক্তার বললেন, গরমে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। টিভিতে দেখলাম, মন্ত্রী বলছেন রাস্তায় যানজট নেই। তাহলে বাস আসে না কেন?
ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৩২০ টাকা। শুধু এনা পরিবহন এ ভাড়া নিচ্ছে। সৌখিন, শ্যামলী বাংলা, আলম এশিয়া পরিবহনে অন্য সময়ে দুই আড়াইশ টাকা নেওয়া হলেও এখন নিচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। শ্যামলী বাংলার বাসে (ঢাকা মেট্রো ব-১২-৩৩৯৮) ৪০০ টাকা ভাড়া হাঁকিয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছিল। ওই বাসের চালকের সহকারী বললেন, ভাড়া ছিল ৫০০ টাকা, ১০০ কম নিচ্ছি। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৮০ টাকা বাড়তি নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বাস খালি আসে। তাই বাড়তি নিতে হয়।
বাড়তি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিআরটিএ। কিন্তু বাস টার্মিনালে সংস্থার কাউকে দেখা যায়নি।