সেন্ট ভিনসেন্টে দুই ম্যাচ জিতে সুপার এইটের আশা সাকিবের

0
87
সেন্ট ভিনসেন্টে ২০০৯ সালে একটি টেস্টে জেতার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র পর্ব শেষ। গ্রুপ ‘ডি’তে বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেখানে খেলেছে। দুই ম্যাচের মধ্যে জিতেছে একটি।

শ্রীলঙ্কাকে হারালেও ৪ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ সেন্ট ভিনসেন্টে। বাংলাদেশ এই মাঠে খেলবে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে। এখানে দুই ম্যাচেই জয়ের আশা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডি সাকিবকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছে ‘সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপ স্পেশাল’। আজ রাত আটটায় এর প্রথম পর্ব প্রচারিত হবে। সেখানে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে এই আশার কথা বলেছেন সাকিব। যদিও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে এসব কথা বলে গেছেন এই তারকা। সাকিব এখন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে সেন্ট ভিনসেন্টে দলের সঙ্গে অবস্থান করছেন।
প্রামাণ্যচিত্রে সাকিব বলেছেন, ‘আমি আশা করি, সেন্ট ভিনসেন্টে আমরা দুটি ম্যাচেই জিততে পারব। পরবর্তী রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে পারব।’

সেন্ট ভিনসেন্টে ২০০৯ সালে একটি টেস্টে জেতার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের
সেন্ট ভিনসেন্টে ২০০৯ সালে একটি টেস্টে জেতার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের, ফাইল ছবি

সেন্ট ভিনসেন্টে এর আগে কোনো টি-টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশ। তবে দুটি টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে খেলেছে। চারটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে একটি টেস্টে জেতার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ নাকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, কোনটা বড় সাকিবের কাছে? এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেছেন, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপই বড়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রতি দুই বছর পরপর হয়, হেরে গেলেও পরেরটা নিয়ে ভাবা যায়। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের জন্য কিন্তু এখনো ভারত ভুগছে, মানসিক ও শারীরিক দুভাবেই। ওরা যেভাবে খেলে শেষ ম্যাচটাতে হেরে গেল! ওয়ানডে বিশ্বকাপ অবশ্যই অনেক বড়, ভালো।’

সাকিবের কাছে ওয়ানডে বিশ্বকাপটাই বড়, বিসিবি

তাহলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে এত উন্মাদনা কেন? এই প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া গেল সাকিবের কথায়। ক্রিকেটের সংস্করণ সামনে আরও ছোট হতে পারে বলেও মনে করেন সাকিব, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে সময়ের চাহিদার কারণে। মানুষ এখনো পুরো দিন ধরে ওয়ানডে দেখতে চায় না, পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচের কথা তো ভুলেই যান। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়া কোথাও দর্শক হয় না। ভারতও এত চেষ্টা করে, তা–ও ওদের দর্শক হয় না।’

সাকিব এরপর বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে। আমার সৌভাগ্য হয়েছে এত দিন ধরে সব পরিবর্তন দেখার। সামনে সম্ভবত আরও কিছু পরিবর্তন আসবে। অলিম্পিকে ক্রিকেট আসছে, স্বাভাবিকভাবে আরও ছোট সংস্করণ দেখা যেতে পারে। টি-টেন শুরু হয়ে গেছে। কে জানে আরও কোথায় যায়!’

চলতি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে রান করেছেন ১১টি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.