মার্কিন পপ তারকা টেলর সুইফটের কনসার্ট মানেই রেকর্ডের ছড়াছড়ি। স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় ইরাস ট্যুরের তিন কনসার্টে আরেক রেকর্ড করছেন তিনি। গত শুক্র, শনি ও রোববার মারিফিল্ড স্টেডিয়ামে সুইফটকে শুনতে শ্রোতাদের স্রোত নেমেছিল।
এডিনবরা সিটি কাউন্সিলের বরাতে স্কটল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম দ্য হেরাল্ড জানিয়েছে, তিন কনসার্টে ২ লাখ ২০ হাজারের মতো শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন। দেশটির কোনো স্টেডিয়ামের কনসার্টে শ্রোতাদের উপস্থিতিতে এটি রেকর্ড।
এডিনবরার শ্রোতাদের ভালোবাসায় রোমাঞ্চিত সুইফট। গতকাল সোমবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শ্রোতাদের প্রতি ভালোবাসার কথা লিখেছেন ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা। তিনি লিখেছেন, ‘এডিনবরা, তুমি সত্যিই আমাকে রোমাঞ্চিত করেছ। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতির রেকর্ডের জন্য তোমাদের ধন্যবাদ। এডিনবার্গে গিয়ে আমার মনে হয়েছিল, আমি যেন নিজের বাড়িতেই আছি। তোমাদের ভালোবাসি।’
শুক্রবার প্রথম শোতে সুইফট জানান, তাঁর ফোকলোর অ্যালবামটি স্কটল্যান্ডকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। সুইফট বলেন, ‘বিভিন্ন ভিডিওতে স্কটল্যান্ডের ক্যাসল দেখে অ্যালবামটি করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম।’
শনিবার কনসার্টে নতুন অ্যালবাম দ্য টরচার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট–এর গান ‘দ্য বোলটার’ পরিবেশন করেছেন সুইফট।
এরপর ইরাস ট্যুরে লন্ডনে যাবেন সুইফট। যুক্তরাজ্য সফর শেষ করে পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়ায় শো করে নিজের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন তিনি। ফ্লোরিডা, লুইজিয়ানা ও ইন্ডিয়ানায় শো করে সুইফট যাবেন কানাডায়। আগামী ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর ভ্যাঙ্কুভারে শেষ হবে এই ট্যুর।
তবে শেষ হওয়ার আগেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে দ্য ইরাস ট্যুর। সংগীতবিশ্লেষকদের মতে, চলতি শতকে পপ কালচারে অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল এই ট্যুর। অনেকে সুইফটের এই সফরকে ১৯৬০-এর দশকে ব্রিটিশ ব্যান্ড দ্য বিটলসকে নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনার সঙ্গে তুলনা করছেন।
দ্য ইরাস ট্যুর থেকে গায়িকার আয়ও হয়েছে অনেক। এই ট্যুর শুরুর আগে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭৪০ মিলিয়ন ডলার, প্রথম ৫৭টি শোয়ের পর যা বেড়ে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। টেলর সুইফটই প্রথম গায়িকা, যিনি কেবল সংগীতের আয় থেকে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন।