ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাঁচটি আসরে অংশ নিলেও এবার প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে কানাডা। উদ্বোধনী ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় জাফর-মোভাদের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম এবং ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে কানাডা।
শুক্রবার (৭ জুন) আগে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডকে ১৩৭ রানের লক্ষ্য দেয় কানাডা। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১২৫ রান তুলতে পারে আয়ারল্যান্ড। এতে ১২ রানের জয় পায় কানাডা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আইরিশদের। ১৭ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। ১৯ বলে ১৭ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবার্নি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটার লরকান টাকারও। ১৫ বলে ১০ রান করেন তিনি। এরপর হ্যারি টেক্টর (৭), কুর্টিস ক্যাম্ফার (৪) এবং গ্যারেথ ডেলানি ৩ রানে আউট হলে দলীয় ৫৯ রানের ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড।
এরপর মার্ক অ্যাডায়ারকে সঙ্গে নিয়ে আইরিশ শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন জর্জ ডকরেল। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে আইরিশরা। ১২ বলে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ রান। ১৯তম ওভারে ১১ রান তোলেন মার্ক অ্যাডায়ার এবং জর্জ ডকরেল।
শেষ ওভারে দ্বিতীয় বলে মার্ক অ্যাডায়ার ২৪ বলে ৩৬ রান করে আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আইরিশরা। জর্জ ডকরেল ২৩ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকলেও নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১২৫ রান তুলতে পারে আয়ারল্যান্ড। এতে ১২ রানের জয় পায় কানাডা।
কানাডার হয়ে ডিলন হেইলিগার দুটি, জুনায়েদ সিদ্দিকি, সাদ বিন জাফর ও জেরেমি গর্ডন একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কানাডার। ১০ বলে ৬ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নবনিত ঢালিওয়াল। ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার অ্যারন জনসনও। ১৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
পরগত সিং শুরু ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করলেও পিচে থিতু হতে পারেনি। ১৪ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ৯ বলে ৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন দিলপ্রিত বাজওয়াও।
তবে শ্রেয়াস মোভাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নিকোলাস কারটন। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৫তম ওভারে ১০০ রানের কোটা পার করে কানাডা। তবে ১ রানের জন্য ফিফটি পাননি কারটন। ৩৫ বলে ৪৯ রান করে আউট হন তিনি।
শেষ দিকে ডিলন হেইলিগার শূন্য রানে আউট হলেও শ্রেয়াস মোভার ৩৬ বলের ৩৭ রানে ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় কানাডা।