ছয় দফা স্বাধীনতা সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ৬ দফা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাইলফলক। ছয় দফার ভিত্তিতে ১১ দফা আন্দোলনের সূত্রপাত।
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৬ দফার গুরুত্ব তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, এই ৬ দফা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর যে আহ্বান, তার সঙ্গে সারা দেশে ৭ জুন হরতাল পালিত হয়। সেই হরতালে তেজগাঁওয়ের শ্রমিক নেতা মনু মিয়াসহ সারা দেশে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ঘটনার পরম্পরায় ৬ দফার ভিত্তিতে ১১ দফা শুরু। যার প্রেক্ষিতে স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে। এ কারণে ছয় দফার গুরুত্ব অনেক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীকার-সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে এই শোক দিবস ৭৫-এর পর নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। যারা নিষিদ্ধ করে দেয় তারা ৭৫ এর খুনের সঙ্গী। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা হত্যা করতে চেয়েছিল স্বাধীনতার ইতিহাসকে।
তিনি বলেন, ১৯৬২ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব বাংলার কোনো নিরাপত্তা ছিল না। এই ৬ দফা আমাদের ইতিহাসের বাক পরিবর্তন করেছে। অথচ ১৯৭৫ সালের পর ৭ জুন, ৭ মার্চ এই সব দিবস নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। যারা নিষিদ্ধ করে দেয় তারা দেশের স্বাধীনতা মানে না।
এসব স্বাধীনতা বিরোধীরাই বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এ নেতা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরের ধাপে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।